পরিবেশের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ধানমন্ডি লেকে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) এ কর্মসূচি পরিচালনা করেছে চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশন। পরিবেশ সচেতনতা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ তৈরি করতেই এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে সংগঠনটি থেকে জানানো হয়।
পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচির উদ্বোধক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা শহরে এসেছি। এখন ঢাকা আমাদের প্রাণের শহর। যেটা আমাদের উৎপত্তি সেটাই বরং দূরে সরে গেছে। এই প্রাণের শহরের প্রাণ এখন প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত। এখানে মানুষের তৈরি বা প্রাকৃতিক যতগুলো ঐতিহাসিক জায়গা আছে তার মধ্যে ধানমন্ডি লেক অন্যতম। লেক সৌন্দর্যের প্রতীক তবে লেক যদি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে যায় তা বোঝাও বটে। বাংলাদেশে যতগুলো লেক, পুকুর, জলাশয়, ডোবা আছে আমাদের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই নষ্ট অবস্থা আমরা শিশুদের জন্য রাখতে চাই না। আজ শিশুরা এগুলো পরিষ্কার করতে এসেছে।
তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন আজ থেকে কাজ শুরু করেছে। আমরা সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। কোনো লোক দেখানো কাজ যেন না হয়। দুই সিটিতে যতগুলো লেক, পুকুর, জলাবদ্ধ পানি আছে তা পরিষ্কার রাখা আপনাদের দায়িত্ব।
পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরুর আগে চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশনের ব্যানারে র্যালি করা হয়। পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচিতে সংগঠনটির স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে। তারা ধানমন্ডি লেকের কচুরিপানা পরিষ্কার এবং পানির মধ্যে ভাসমান বর্জ্য অপসারণ করেন।
চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশনের সদস্যরা জানান, পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সংরক্ষণে জন্য এমন উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আরও বলেন, মানুষ যত সচেতন হবে, পরিবেশ রক্ষার কাজ তত গতিশীল হবে। সকলের জন্য বিশেষত শিশুদের জন্য পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
এ সময় চিলড্রেন ওয়াচ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ ইসরাত আজমেরী বলেন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি সেখানে শিশু, তরুণরা আছে সাথে আমরা আছি অভিভাবক হিসেবে। এই যে বায়ুদূষণ, পানিদূষণ হচ্ছে তার জন্যই আমাদের এই পদক্ষেপ।
এ সময় বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক ও বুড়িগঙ্গা বাচাও আন্দোলনের কনভেনর মিহির বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন। এছাড়া এসময় শিশুরাও পরিবেশ রক্ষা ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে বক্তব্য রাখেন গ্রীন ভয়েসের কেন্দ্রীয় সহ- সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমন, সমন্বয়কারী বারসিক, এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সদস্য জাহাঙ্গীর আলম।