বাংলাদেশের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ত্রিপুরার ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ভারতের প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশকে ৬০-৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয়। এই বিদ্যুৎ সরবরাহ ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ করপোরেশন লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের সঙ্গে এক চুক্তির আওতায় হচ্ছে। কিন্তু, বর্তমানে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ২০০ কোটি রুপি বকেয়া রেখেছে এবং এই বকেয়ার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি, বাংলাদেশ তাদের বকেয়া পরিশোধ করবে যেন বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো বিঘ্ন না ঘটে। তবে, এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কিছু যন্ত্রপাতি বাংলাদেশ ভূখণ্ড দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আনা হয়েছিল। এর কারণে ত্রিপুরা সরকার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছিল, তবে তিনি জানিয়ে দেন, বকেয়া পরিশোধ না করলে, আমরা কতদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পারব তা বলা মুশকিল।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারতের আরেকটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার, যা ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে, তারা বকেয়া বাবদ ৮০০ মিলিয়ন ডলার পাওনা রেখেছে। এর কারণে, তারা গত আগস্টে ১৪০০-১৫০০ মেগাওয়াট থেকে সরবরাহ কমিয়ে ৫২০ মেগাওয়াটে নামিয়ে এনেছে।
এছাড়া, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে মানিক সাহা বলেন, ত্রিপুরায় এখনো বড় ধরনের অনুপ্রবেশ ঘটেনি, তবে সীমান্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি বাংলাদেশের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনাতেও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি বিষয়ে তিনি বলেন, আগরতলা ও ঢাকার মধ্যে রেললাইন চালু হলে তা উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের সুবিধা পেলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোও উপকৃত হবে।