ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সাবেক প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যার কথা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে ইসরায়েল। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা হুতিদের ওপর কঠোর আঘাত হানব এবং তাদের নেতৃত্বকে হত্যা করব। যেমনটা আমরা তেহরান, গাজা ও লেবাননে হানিয়া, ইয়াহিয়া সিনওয়ার ও হাসান নাসরুল্লাহর ক্ষেত্রে করেছি। একই কাজ আমরা ইয়েমেনের হোদেইদা ও সানায় করব।’
হানিয়ার হত্যা :
চলতি বছরের ৩১ জুলাই ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করা হয়। তেহরানের একটি রাষ্ট্রীয় অতিথিশালার কক্ষে অবস্থানকালে পূর্বেই ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের স্থাপন করা বোমার বিস্ফোরণে তিনি নিহত হন। এর আগে তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন।
ইরান ও হামাস শুরু থেকেই এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে আসছিল। তবে এত দিন ইসরায়েল তা অস্বীকার করেছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ইসরায়েল প্রথমবারের মতো হানিয়ার হত্যার কথা স্বীকার করল।
ইসরায়েলের টার্গেট কিলিং :
হানিয়ার আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বোমা হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এরপর ১৬ অক্টোবর অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকেও হত্যা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, সিনওয়ার ছিলেন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।
ইসরায়েলের এ ধরনের ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ড মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।