ঢাকাই চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেম করে ঘর বেঁধেছিলেন নায়ক শাকিব খান। যদিও এই কেচ্ছা আজকের নয়, বেশ পুরোনো। বিষয়টি দীর্ঘ সময় ধরেই গোপন থাকলেও ২০১৭ সালে তাদের পুত্রসন্তানকে গণমাধ্যমে এনে সব সত্যি ফাঁস করে দেন অপু। যদিও শোনা যায়, সে বছরেই নাকি নায়িকার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে শাকিবের।
শাকিবও থেমে থাকেননি। অপুর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান নায়ক; বিয়ে করে পাতেন তার দ্বিতীয় সংসার। তাদের ঘরেও একটি সন্তান রয়েছে। যদিও বর্তমানে কারো সঙ্গেই এক ঘরে থাকছেন না শাকিব খান।
এদিকে এ সমস্ত ঘটনার পর শাকিব খানকে নিয়ে অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীরও কাদা ছোঁড়াছুড়ি কম হয়নি। একে অপরের বিস্ফোরক নানান মন্তব্য ঘিরে বেশ চর্চার মুখেও পড়েছেন তারা। কিন্তু তাদের ভক্ত অনুরাগীদের অধিকাংশ এখনও মনে করেন, শাকিবের ভালোবাসা পাওয়ার প্রাপ্য তার প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসই।
যদিও দুই সংসারে পুত্র সন্তান থাকায় অপু-বুবলী দুজনের সঙ্গেই কমবেশি শাকিবের যোগাযোগ রয়েছে বলে অনুমান। যদিও এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কেউই মুখ খোলেননি কখনও। তবে অপু যে এখনও শাকিব খানকে ভালোবাসেন, তার এই ভালোবাসা পাওয়ার অপেক্ষায় থাকেন, তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বারংবার।
সদ্যই এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা ভাগ করে নেন নায়িকা। জানান, শাকিব খান নাকি তার সঙ্গে দেখা করতে ভারতের শিলিগুড়ি এসে পড়ে! সে ঘটনা তুলে ধরে অপু বলেন, ‘একদিন শাকিবের সহকর্মী আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, আপা আমরা চ্যাংরাবান্ধা বর্ডার। আমি বললাম, মানে? তখন ভোরবেলা, আর আমি চারহাত পায়ে লাফিয়ে উঠেছি। আমার মেজবোনকে বললাম, তখন সে দাদাকে বলল, সেও লাফিয়ে ওঠে।’
অপু বলেন, ‘শ্যুটিং ফাঁকি দিয়ে সারারাত ধরে বাসে চড়ে শাকিব এসেছে। এমন সময় যে, এদিন সকালেই ওর শ্যুটিং, সব আর্টিস্টও রেডি। এমন অবস্থায় দাদাকে বললাম, তিনি সঙ্গে সঙ্গেই গাড়ি নিয়েই বর্ডার পর্যন্ত চলে গেল, সঙ্গে আমিও ছিলাম যেন উড়ে উড়ে গেল। এরপর তাকে নিয়ে শিলিগুড়িতে একটা হোটেল ছিল, সেটা দাদা বুক করে রাখলেন।’
অপু আরও বলেন, ‘শাকিব অনেক সোজা সরল মানুষ। আমাদের যেদিন বিয়ে হয়েছে একটা কথা এখনও কানে বাধে, আমরা বিয়ে করে ফেলি। আমি বললাম, বিয়ে করে ফেলব, কিভাবে সম্ভব! বলেন, একজন স্বামী যেভাবে স্ত্রীকে ভালোবাসে, আমি ঠিক একজন স্বামীর জায়গা থেকেই তোমাকে ভালোবাসব।’
শাকিবের সঙ্গে প্রেম নিয়ে অপুর পরিবারের মত কেমন ছিল, সে বিষয়েও কথা বলেন নায়িকা। তার কথায়, ‘আসলে আমরা প্রেমটা খুব একটা করতেও পারিনি। মায়ের এত কমিটমেন্ট, এত প্রেসার ছিল! সেই জায়গা থেকে আমাদের বিয়েটাই খুব দ্রুত হয়ে গেছে। আমার মা প্রথম দিকে মানেন নি। পরে মানতে হয়েছে। যেহেতু ওর ফ্যামিলির লোকেরাও অনেক ভালো।’
অপু বলেন, ‘আমার মায়ের ব্যাপারটা এমন ছিল, শাকিবকে দেখলে অনেক কিছু বলবে। কিন্তু যখন শাকিবকে দেখতেন, তখন মা পাগল হয়ে যেত। এটা নিয়ে ভাবতেন, কি খাওয়ানো যায়, বা কি করা যায়।’