সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাত্র ১২ দিনের পরিচয়। এরইমধ্যে জড়িয়ে পড়ে প্রেমের সম্পর্কে। পরে প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক স্কুলছাত্রী (১৭)।
রাজবাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভুক্তভোগীর বাবা চারজনকে আসামি করে রাজবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। পরে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারদের একজন রাজবাড়ী সদর উপজেলার হাবিবুর রহমানের ছেলে সজিব অমিত (১৯)। বাকি দুজনের বয়স ১৬ বছর। এ ঘটনায় পলাতক রয়েছেন রাশেদ (২০) নামের একজন।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ওই ছাত্রীর সঙ্গে কিশোরের পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুবাদে মেয়েটিকে দেখা করতে বলে ওই কিশোর। ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে সদর উপজেলার ভবদিয়া পার্কে তারা দেখা করে। পরে সেখান থেকে কৌশলে তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ওই কিশোরসহ তার তিন সহযোগী।
সেখানে আটকে রেখে মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে মেয়েটিকে জেলা শহরের বড়পুল এলাকায় রেখে পালিয়ে যায় ওই কিশোর। এরপর মেয়েটি তার বাড়িতে গিয়ে সব কিছু খুলে বলে।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান জানান, ইতোমধ্যেই সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার মেয়েটির জবানবন্দি আদালতে রেকর্ড করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তার ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তার ৩ জনকেই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পলাতক আসামি রাশেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।