কাজাখস্তানের আক্তাও শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়েছে। উড়োজাহাজটি আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়ার গ্রোজনি শহরের উদ্দেশে যাত্রাকালে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় বিমানটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেও সফল হয়নি।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে আজারবাইজানের বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রোজনির উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে মাঝ আকাশে গ্রোজনিতে ঘনকুয়াশার খরব পান পাইলট। ফলে বিমানটি কাজাখস্তানে অবতরণের চেষ্টা করেন তিনি। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুমতিও চান তিনি। তবে প্রক্রিয়া শেষ করার আগেই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারায়।
কাজাখস্তানের সরকার জানিয়েছে, বিধ্বস্তের পর দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ ঘটনায় তিন শিশুসহ ২৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন কারণ বর্ণনা করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছিল। ফলে পাইলট জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন। অনেকে আবার বলছেন, মাঝ আকাশে একঝাঁক পাখির সঙ্গে বিমানটির ধাক্কা লাগে। ফলে জরুরি অবতরণে বাধ্য হন পাইলট।
কাজাখস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ নির্ধারণে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে কারিগরি ত্রুটি বা অন্য কোনো সম্ভাব্য কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
আজারবাইজান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের আওতাধীন ছিল। তবে আকস্মিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটি জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছিল।