ইসরায়েলের বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দরে হামলার জবাবে এ হামলা করা হয়।
দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল ইয়েমেনের সানা বিমানবন্দর, এর কাছাকাছি আল দাইলামি সামরিক ঘাঁটি এবং হোদেইদাহ বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এ হামলার খবর নিশ্চিত করেছে হুতি এবং ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম।
এর জবাবে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) তেলআবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইয়েমেনের যোদ্ধারা। হুথি বিদ্রোহীরা এ দাবি করেছে।
হুথি এক বিবৃতিতে বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থন অব্যাহত রাখার জন্যই ইসরায়েলে হামলা করা হয়েছে। এ সফলতা ইয়েমেনি জনগণের দৃঢ় সংকল্পকে বাড়িয়ে তুলবে।
তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি ইসরায়েলের আকাশসীমায় পৌঁছানোর আগেই তা আটকে দিয়েছে। যদিও ধ্বংসাবশেষ পড়ার ভয়ে দেশের কেন্দ্রস্থলের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে তেল আবিবের আকাশে এ দিন কোনো শত্রু ড্রোনের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলায় সানা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে বিমানবন্দরটি কার্যক্রম পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইয়েমেনের সাংবাদিক হুসাইন আল বুখাইতি। পাশাপাশি আল দাইলামি সামরিক ঘাঁটি এবং হোদেইদাহ বিদ্যুৎকেন্দ্রেও হামলা হয়েছে।
হুতিদের আল-মাসিরাহ টিভি এই হামলাকে ‘ইসরায়েলি আগ্রাসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। তবে, ইসরায়েল এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।