কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর এলাকায় তিন বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের নতুন রাস্তা এলাকায় নিখোঁজের ৬ ঘণ্টা পর পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া হাসানের ওয়্যারড্রোবের ড্রয়ারে শিশু সাহালের লাশ পাওয়া যায়। ঘটনার সময় হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হাসান পালিয়ে গেলেও পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় পুলিশ তাকে আটক করে।
নিহত সাহাল ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার কাতার প্রবাসী সানাউল্লাহ বাবুর ছেলে। আর হাছান মিয়া আশুগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সাহালের মা তাকে দুধ খাওয়ানোর জন্য খুঁজতে থাকে। তখন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। রাত ১০টা পর্যন্ত তাকে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। পরে থানায় গিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করে পরিবার।
এলাকাবাসী শামীম মিয়া ও স্থানীয় এক নারী জানান, বিকেল থেকে শিশুটিকে খুঁজে না পেয়ে রাত ১১টার সময় থানায় গিয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া হাসানের রুম তালাবদ্ধ পেয়ে সন্দেহ করে। পরে পুলিশ তালা ভেঙে রুমে গিয়ে ওয়্যারড্রবের নিচে সাহালের জুতা পাওয়া যায়। একপর্যায়ে ড্রয়ারের তালা ভেঙে কাপড় দিয়ে মোড়ানো সাহালের লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়। শিশুটি মুখে স্কচটেপ ও কাপড় দিয়ে মোড়ানো ছিল।
এলাকাবাসীর ধারনা, পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি শাহিন মিয়া বলেন, রাত ১১টার পর জিডি সূত্র ধরে আমি সঙ্গী ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। এ সময় পাশের বাসার ভাড়াটিয়া হাসানের রুম তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পেয়ে যোগাযোগ করার জন্য ফোন করা হলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে ওই রুমের তালা ভেঙে আমরা তার ওয়্যারড্রবের ড্রয়ার থেকে কাপড়ে মোড়ানো সাহালের লাশ উদ্ধার করি। দুপুরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।
তিনে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হাছান শিশু সাহালকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, পরকীয়ার জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে।