চাঁদপুরে এক যুবকের অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে ফারজানা আক্তার সাথী (৩০) নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ডিবি চাঁদপুরের এসআই মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফারজানা আক্তার সাথী শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মৃত সুমন জমাদারের স্ত্রী।
জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শামীম সরকারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা ৪ নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
মামলা থেকে জানা যায়, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ডায়াবেটিস হাসপাতালে যান ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজী। পরে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে জরুরি কাজে বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুই নারীও তার সঙ্গে ওঠেন।
পরে অজ্ঞাতনামা দুই নারী শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগীকে নামতে না দিয়ে জোরপূর্বক শহরের মাদ্রাসা রোডের জান্নাত মহলের ৬ তলার শামীমের বাসায় নিয়ে যান। আসামিরা ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে তাদের ব্যবহৃত মোবাইল দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণও দাবি করেন ওই নারীরা। মানসম্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী তার ভাইকে ১ লাখ টাকা পাঠাতে বলেন।
এ সময় অপহৃতের ভাই চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রকিবকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মাদ্রাসা রোডের জান্নাত মহলে অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ডিবি চাঁদপুরের এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন, সাথীকে আমরা ডিবি অফিসে নিয়ে যাই। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। তার বিরুদ্ধে গত ৫ ডিসেম্বর শামছুল হক গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শামিম সরকারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা ৪ নারী-পুরুষের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর পরই প্রধান আসামি ফ্ল্যাটের মালিক শামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগী আসামি রুবি আক্তারকে ১৬ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বিকেলে ব্ল্যাকমেইলিংয়ের মাস্টারমাইন্ড ফারজানা আক্তার সাথীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।