দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠত্ব টানা দুই বার। সাবিনারা চ্যাম্পিয়ন হলেও বাংলাদেশের নারী ফুটবল লিগ ও কাঠামো এখন পর্যন্ত বেশ দুর্বল। ২০২৪-২৫ মৌসুমে নারী লিগ নিয়ে বাফুফে আগামীকাল ক্লাবগুলোর সঙ্গে একটি মত বিনিময় সভার আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ চলমান রয়েছে। এই লিগে এবার দশটি দল অংশগ্রহণ করছে। আসন্ন নারী লিগের মত বিনিময় সভায় সভায় প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোকেও আহ্বান জানিয়েছে বাফুফে। প্রিমিয়ার লিগের সকল ক্লাবকে আমন্ত্রণ জানালেও লিগ কমিটির চেয়ারম্যান ও ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসান এই বিষয়ে অবগত নন। এতে স্পষ্ট বাফুফের আভ্যন্তরীণ সমন্বয়হীনতা। প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো নিয়ে ফেডারেশনের আরেকটি কমিটি সভা ডেকেছে সেখানে সংশ্লিষ্ট আরেক কমিটির চেয়ারম্যানকে অবহিত করা সৌজন্যতা হলেও বাফুফে সচিবালয় কিংবা নারী উইং কোনো পক্ষই করেনি।
২০১২-১৩ সালের দিকে নারী ফুটবল লিগে আবাহনী, মোহামেডান, শেখ জামালের মতো প্রতিষ্ঠিত ক্লাবগুলো খেলেছে। এরপর অনেক দিন নারী লিগ আয়োজন হয়নি। গত তিন-চার মৌসুম ধরে লিগ হলেও বসুন্ধরা কিংস, ফরাশগঞ্জ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠিত ক্লাব অংশ নেয়নি। গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসও অংশ নেয়নি। আগামীকাল বাফুফের সভায় প্রতিষ্ঠিত কয়টি ক্লাব অংশ নেয় সেটাই দেখার বিষয়।
চলমান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো ছাড়াও গত মৌসুমে নারী লিগে অংশ নেয়া ক্লাবগুলোও কালকের সভায় আমন্ত্রিত। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে, সংশ্লিষ্ট ক্লাবগুলোর নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন প্রতিনিধি সভায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছে এবং ক্লাবগুলোর সঙ্গে সভা করবেন ফেডারেশনের অন্যতম নির্বাহী সদস্য ও মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ।
বাফুফের নির্বাচন শেষ হয়েছে দুই মাসের বেশি। এখনো কোনো স্ট্যান্ডিং কমিটি আনুষ্টানিকভাবে প্রকাশ হয়নি। ক্লাবগুলোকে মত বিনিময় সভা শুধু চেয়ারম্যানের পরিবর্তে মহিলা ফুটবল উইং কিংবা কমিটির সঙ্গে বৈঠক শব্দ ব্যবহার করলে বিষয়টি আরো সাংগঠনিক রুপ পেত। যদিও নারী উইংয়ে কিরণের মতামত বা সিদ্ধান্তই শেষ কথা।