ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো ও পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির। শনিবার (৪ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে চবি ছাত্রদলের সভাপতি আলাউদ্দিন মহসিন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিল, ভর্তি আবেদন ফি কমানোসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। প্রশাসনের সাথে শিক্ষার্থীরা বৈঠক করলেও চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল মনে করে শিক্ষার্থীদের ৯ দফা দাবি যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তারা পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল, ভর্তি আবেদন ফি ২০০ টাকা করাসহ আরও ৭ দফা দাবি পেশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের পক্ষে নানা কাজ করে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশাও অনেক। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করলে শিক্ষার্থী ও প্রশাসনের মধ্যে আরও আস্থা ও মেলবন্ধন স্থাপিত হবে। চবি ছাত্রদল শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যে কোনো দাবির পক্ষে কাজ করে যাবে।
অপর এক বিবৃতিতে চবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি নাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, চলমান আন্দোলনের দাবিগুলো সব শিক্ষার্থীরই দাবি। গত ২৭ ডিসেম্বর চবি ছাত্রশিবির ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি কমানো ও সকল অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবিতে বিবৃতি দেয়। এ ছাড়া গত ২৪ সেপ্টেম্বর প্রদত্ত চবি ছাত্রশিবিরের ২৪ দফা দাবির মধ্যে অন্যান্য দাবিগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় চলমান আন্দোলনের সাথে চবি ছাত্রশিবির সংহতি প্রকাশ করছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো–
১. ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি ২০০ টাকা করতে হবে।
২. পোষ্য কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু করতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের আর্থিক অবস্থা, বাড়ির দূরত্ব এবং মেধার ভিত্তিতে বন্ধ হলগুলোতে আসন বরাদ্দ ও অতিদ্রুত নতুন দুইটি হল নির্মাণ করতে হবে এবং কটেজের শিক্ষার্থীদেরও হলের মেসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল এক্সট্রা কারিকুলার সংগঠনসমূহকে অফিস বরাদ্দ দিতে হবে।
৬. অনতিবিলম্বে টিএসসি নির্মাণ করতে হবে।
৭. অতি দ্রুত চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
৮. প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল প্রদান ও অনলাইনে রেজাল্ট প্রকাশসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনলাইনভিত্তিক করতে হবে।
৯. সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুপ্ত হামলার সুষ্ঠু বিচার এবং ক্যাম্পাসে ও শাটল ট্রেনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।