পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে মাসব্যাপী পর্যটন মেলা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টায় মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন এই মেলার উদ্বোধন করেন।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাব ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা (টোয়াক) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।
মেলায় ৪০টি স্টোর, ভূতের বাড়ি, নাগরদোলা, ঘোড়া রাইডসহ রয়েছে হরেক রকমের দোকানপাট। পর্যটকদের বাড়তি বিনোদন দেওয়ার জন্য মাসব্যাপী থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলা প্রাঙ্গণ ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা। এতে সার্বিক সহযোগিতা করছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও কলাপাড়া উপজেলা প্রশাসন।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম, কুয়াকাটা সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাবাব আহমেদ শিবলী, কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কৌশিক আহমেদ, কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আ. আজিজ মুসুল্লি, কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ মোতালেব শরীফ, পৌর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের সাবেক আমির মাওলানা মাঈনুল ইসলাম মান্নান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পৌর শাখার সভাপতি মো. ফজলুল হক খান প্রমুখ।
মেলায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পণ্যসামগ্রীর পসরা নিয়ে আসতে শুরু করেছে। এ ছাড়া মেলায় মাসজুড়ে দেশের বরেণ্য শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। মেলার বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে দি নিউ রাজধানী সার্কাসসহ বিভিন্ন ধরনের রাইড।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, কুয়াকাটার পর্যটনকে প্রমোট করতে এই মেলার আয়োজন। বিগত দিনের তুলনায় পর্যটকের আগমন ২০২৫ সালে বাড়বে। মেলা সফল ও সার্থক করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি থাকবে।
সাগরকন্যা কুয়াকাটায় এই মাসব্যাপী পর্যটন মেলা আগত পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ বিনোদনের জায়গা হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। মেলাকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় পর্যটকদের ভিড় বাড়বে বলেও মনে করছেন তারা।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, কুয়াকাটায় এই প্রথম মাসব্যাপী পর্যটন মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই মেলা কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের বাড়তি বিনোদনের ব্যবস্থা করবে বলে মনে করছি। মেলাকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে পুরো এলাকাজুড়ে। আশা করছি সুশৃঙ্খলভাবেই মেলার সমাপ্তি হবে।