ভারতের পুনের একটি প্রতিষ্ঠানের পার্কিং লটে এক নারীর নৃশংসভাবে খুন হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
২৮ বছর বয়সী শুভদা কোদারে নামের ওই নারীকে তার সহকর্মী কৃষ্ণ কানুজা প্রকাশ্যে হত্যা করেন। ঘটনাটি নিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কৃষ্ণ কানুজা ও শুভদা কোদারের মধ্যে টাকা নিয়ে বিবাদ চলছিল। শুভদা তার সহকর্মীর কাছ থেকে মিথ্যা কথা বলে একাধিকবার টাকা ধার নিয়েছিলেন।
পরবর্তী সময়ে টাকা ফেরত না দেওয়ায় এবং বারবার অসুস্থ বাবার অজুহাত দেখানোর কারণে কানুজা সন্দেহ করতে শুরু করেন। শেষে তিনি কোদারের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানতে পারেন, শুভদার বাবা আসলে সুস্থ ছিলেন।
এ ঘটনায় কৃষ্ণ কানুজা খুব ক্ষুব্ধ হয়ে শুভদাকে অফিসের পার্কিং লটে ডেকে পাঠান। সেখানে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হলে কানুজা হাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে শুভদাকে আঘাত করেন।
পার্কিং লটে উপস্থিত লোকজন এই নৃশংস ঘটনা দেখলেও কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। বরং অনেকেই এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ধারণ করেন।
কিছুক্ষণ পরে কোদারে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং গুরুতর আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকদের মতে, শুভদার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় পুলিশ কৃষ্ণ কানুজাকে গ্রেপ্তার করেছে এবং তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীদের নির্লিপ্ত ভূমিকা এবং ভিডিও ধারণের বিষয়টি সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।
অনেকেই মনে করছেন, যদি কেউ তৎকালীন সময়ে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতেন, তাহলে হয়তো কোদারেকে বাঁচানো সম্ভব হতো।