দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এজলাস কক্ষ, বিভিন্ন স্থাপনা, ইনার গার্ডেন, জাদুঘর কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ হয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জবির আইন বিভাগের একদল স্বপ্নবাজ শিক্ষার্থী সুপ্রিম কোর্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আরিফুর রহমান আরিফ। তিনি শিক্ষার্থীদের এজলাস কক্ষ, বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখান।
সকালে সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে পৌঁছে শিক্ষার্থীরা বিচারাঙ্গনের পরিবেশ প্রত্যক্ষ করেন। আদালত চত্বরে আইনজীবীদের ব্যস্ত চলাচল, কালো কোর্টে মোড়ানো বাদী বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের দেখে শিক্ষার্থীদের মাঝে এক অন্যরকম অনুভূতি তৈরি হয়। কেউবা নিতান্ত কৌতূহলী, কেউবা মামলা লড়ার স্বপ্ন, আর কেউ একদম ন্যায়বিচারের অভিভাবক হওয়ার তাগিদ নিজেদের মধ্যে উপলব্ধি করেন।
পরিদর্শনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান ভবন পরিদর্শন করেন। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট জাদুঘরে গিয়ে দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থার ইতিহাস সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। সেখানে সংরক্ষিত রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক দলিল, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিদের ব্যবহৃত নিদর্শন এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ মামলার নথিপত্র। শিক্ষার্থীরা এসব দেখে দেশের বিচারব্যবস্থার বিকাশ ও পরিবর্তন সম্পর্কে বাস্তব ধারণা লাভ করেন।
পরিদর্শন শেষে শিক্ষার্থীরা আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে তাদের অনুভূতি বিনিময় করেন। এ সময় সিদ্দিকি ইমরোজ বলেন, ‘আইন শিক্ষার্থী হিসেবে যদি সুপ্রিম কোর্ট দেখা না হয়, তবে আইন পড়ার অভিজ্ঞতা কাঁচা থেকে যায়। আইনের শিক্ষার্থী হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে কাছ থেকে দেখা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা। ভবিষ্যতে আমরা যারা আইন পেশায় যুক্ত হতে চাই, তাদের জন্য এটা অনুপ্রেরণার এক দিন হয়ে থাকবে। আমি কৃতজ্ঞতা জানাই অ্যাডভোকেট. আরিফুর রহমানকে আমাদের সুপ্রিমকোর্ট পরিদর্শনের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।’
শিক্ষার্থী শিবলী রহমতুল্লাহ সিয়াম বলেন, ‘একজন ধর্মপ্রাণ মানুষের কাছে উপাসনালয় যেমন আইন শিক্ষার্থীদের কাছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট তেমন। সুপ্রিম কোর্ট ন্যায়ের প্রতীক আর সুপ্রিম কোর্ট মিউজিয়াম সেই ন্যায়ের ইতিহাস বহন করে। কোর্টের স্থাপত্যশৈলী যেমন আমাকে মুগ্ধ করেছে তেমনি মিউজিয়ামের ঐতিহাসিক নথি, বিচারপতিদের স্মৃতি স্মারক ও সংবিধানের পটভূমির দর্শন মনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
শিক্ষার্থীদের পরিদর্শন শেষে আইনসংক্রান্ত ও ক্যারিয়ার বিষয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন অ্যাডভোকেট আরিফু্র রহমান আরিফ।