অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা দখল করে সেখানে আর ফিলিস্তিনিদের ফিরতে দেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেছেন, “না ফিলিস্তিনিরা আর গাজায় ফিরতে পারবে না, কারণ তাদের জন্য আরও ভালো আবাসন থাকবে। আরেক কথায়, (গাজার বাইরে) আমি তাদের জন্য স্থায়ী জায়গা তৈরির ব্যাপারে কথা বলছি।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজাবাসীর জন্য তিনি আলাদা পাঁচ থেকে ছয়টি আবাসন তৈরি করবেন। তিনি বলেন, “আমি তাদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের কথা বলছি, কারণ যদি তাদের এখন ফিরত হয়, তাহলে এটি অনেক অনেক বছর লাগবে। গাজা এখন বাসযোগ্য নয়। আমি গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দাদের জন্য ‘সুন্দর কমিউনিটি’ তৈরি করে দেব। যেগুলো হবে নিরাপদ। তবে তারা যেখানে এখন আছে সেখান থেকে এগুলো একটু দূরে হবে। বর্তমানে গাজা ঝুঁকিতে ভরা।”
তিনি আরও বলেন, “এই সময়ের মধ্যে আমি এটি কিনে নেব। এখানে ভবিষ্যত রিয়েল এস্টেট ডেভেলপমেন্টের কথা ভাবুন। এটি হবে একটি সুন্দর ভূখণ্ড। বড় অর্থ খরচ হবে না।”
এদিকে চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে যান দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। সেখানে ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা দখল করবেন এবং সেখানে নতুন বসতি গড়ে তুলবেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের মিসর অথবা জর্ডানে পাঠানো হবে। তার এমন কথায় সবাই বেশ অবাক হন। এছাড়া মিসর ও জর্ডান তার প্রস্তাব তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাখ্যান করে।
গত ১৫ মাস গাজায় নির্বিচার বর্বরতা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেখানকার প্রায় ৭০ শতাংশ বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে দখলদাররা।