খ্যাতির মধ্যগগনে থাকাকালীনও সিনেমার সেটে কম ধকল পোহাতে হয়নি প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকে। তীব্র শরীর খারাপ শুনেও প্রিয়াঙ্কাকে শুটিংয়ের জন্য চাপ দেওয়া হতো! আর প্রযোজনা সংস্থাটি কার ছিল জানেন? করণ জোহরের। ছবির নাম? ‘দোস্তানা’। পরিচালকের নাম? তরুণ মনসুখানি।
প্রিয়াঙ্কার মা মধু চোপড়ার কথায়, “তখন দোস্তানা ছবির শুটিং চলছে। ছবির পরিচালক তরুণ তখন আজকের মতো ছিল না। ওকে সেই সময় অনেকেই ভয় পেত। স্বভাবই ছিল এমন।’
এরপরের ঘটনা উল্লেখ করে মধু চোপড়া বলেন, ‘একদিন প্রিয়াঙ্কার খুব জ্বর। মাথা তুলতে পারছে না। আমার থেকে চেয়ে ওষুধও খেল। সেদিনও শুটিংয়ে যেতে উদ্যত হলে আমি আটকেছিলাম। বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিলে, সে অনুরোধ করেছিল- খবরটা যেন তরুণ মনসুখানিকে জানাই। আমিও রাজি হয়ে যায়। ফোন করলাম পরিচালককে।’
‘আমার কাছ থেকে সব শুনে ফোনের ওপ্রান্ত থেকে তরুণ বলে উঠল, ‘বাহ,দারুণ!’ আর সেটা শুনেই মেজাজ হারিয়েছিলাম আমি। সোজা বলে উঠেছিলাম, ‘শোনো, তরুণ, তুমি যদি প্রিয়াঙ্কার মৃত্যু চাও, তাহলে আজ আমি ওকে তোমার ছবির সেটে পাঠাচ্ছি। কিন্তু ওর যদি কিছু হয়ে যায় তার জন্য কিন্তু তুমি দায়ী থাকবে। সেই দায় নিতে হবে তোমাকেই…’।
প্রিয়াঙ্কার মা বলেন, ‘‘যাই হোক এরপর থেকে যেখানেই তরুণের সঙ্গে আমার দেখা হয় ও একগাল হেসে মজা করে বলে ওঠে, ‘তুমি যদি আমার মেয়ের মৃত্যু চাও….’ ইত্যাদি ইত্যাদি।”
তবে একবার তারকা-মেয়েকে বেশ কড়া ধমক দিতেও পিছপা হননি মধু চোপড়া। ‘অ্যায়েতরাজ’ ছবিতে সোনিয়া কাপুরের চরিত্রে এমনভাবে প্রবেশ করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা যে বাড়িতেও মাঝেমধ্যে সেই রূপে দেখা যেত তাকে, অবিকল সেরকম হাবভাবে।
প্রায়ই ‘অ্যায়েতরাজ’ ছবির চরিত্রের স্বরে কথা বলতেন। তেমনই অঙ্গভঙ্গি করতেন। আদব কায়দাতেও এনেছিলেন পরিবর্তন। এই দেখে বেজায় চটেছিলেন প্রিয়াঙ্কার মা। মেয়ের মধ্যে আকস্মিক এই পরিবর্তন দেখে মধু বলেছিলেন, “এই বাড়িতে ফিরতে হলে ওই চরিত্রটা বাইরে রেখে আসবে।” এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা বলেছিলেন খোদ প্রিয়াঙ্কা নিজেই।