প্রতিবেশী দেশ কানাডা ও মেক্সিকোর বেশিরভাগ পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ পিছিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মেক্সিকোর পণ্যের ওপর যে শুল্ক চাপানো হয়েছিল তা এক মাসের জন্য স্থগিত রাখার কথা আগেই জানিয়েছিলেন ট্রাম্প।
এবার কানাডার ক্ষেত্রেও একই নীতি নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ফলে আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত মেক্সিকোর পাশাপাশি কানাডার পণ্যের ওপর থেকেও অতিরিক্ত শুল্ক নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (৭ মার্চ) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স এবং সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা।
সংবাদমাধ্যম বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে বেশিরভাগ মেক্সিকান এবং কানাডিয়ান রপ্তানির ওপর তার নতুন করে আরোপ করা ২৫ শতাংশ শুল্ক চার সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দিয়েছেন।
মেক্সিকান সরকার যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন-প্রত্যাশীদের ঢল নিয়ন্ত্রণে এবং প্রাণনাশী মাদক ফেন্টানিল চোরাচালান বন্ধ করতে কিভাবে সাহায্য করেছে তা মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবামের কাছ থেকে সরাসরি জানার পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর অধিকাংশ রপ্তানি পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত চার সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেন।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, শুল্কের ওপর এই ছাড় আগামী ২ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে এবং ২০১৮ সালে হোয়াইট হাউসে তার প্রথম মেয়াদের সময়ে মেক্সিকো ও কানাডার সাথে যে বানিজ্য চুক্তি হয়েছিল তার আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কোম্পানি মেক্সিকোর পণ্য আমদানি করবে সেগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা হবে না।
এর কয়েক ঘণ্টা পরে তিনি কানাডার ওপরও নতুন শুল্ক আরোপ পিছিয়ে দেন, যদিও এই এক মাসে উভয় দেশে শুল্কের কী হবে তা এখনও অজানা। এর আগে গত বুধবার মেক্সিকো ও কানাডাতে প্রস্তুত যেসব গাড়ি যুক্তরাষ্ট্রে চালান করা হচ্ছে সেগুলোর ওপর নতুন কর আরোপ এক মাস পর্যন্ত স্থগিত করেন ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, ট্রাম্প সকল মার্কিন বাণিজ্যিক অংশীদারদের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপের বিশ্বব্যাপী ব্যবস্থা আরোপ করার কথা বলেছিলেন। ট্রাম্প যে শুল্ক নেওয়া কথা জানিয়েছিলেন তাতে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ শুরু হয়।
তবে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২ এপ্রিল পর্যন্ত আমেরিকা-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তির আওতাধীন কোনও পণ্যে ওপর মেক্সিকোকে শুল্ক দিতে হবে না। পরে একই নীতি ঘোষণা করা হয় কানাডার ক্ষেত্রেও। তবে তা যে দীর্ঘস্থায়ী হবে না সেটিও জানিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন।