ইসলামী ছাত্রশিবির বাংলাদেশের সবচেয়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র সংগঠন বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমানউল্লাহ আমান।
রোববার (৯ মার্চ) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আমিরের তো দূরের কথা তাদের কোনো নেতার বিরুদ্ধে কথা বলার যোগ্যতা বা কোনো সক্ষমতা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেই। তাদের ভিতরে কোনো গণতন্ত্র নেই। আপনারা চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্তে পালন করেন। টেলিভিশন টকশোতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুঁইফোঁড় আইডি ব্যবহার করে লেজুড়ভিত্তিক বয়ান তৈরি করে যাচ্ছেন। ধিক্কার জানাই আপনাদের। ইসলামী ছাত্রশিবির বাংলাদেশের সবচেয়ে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্রসংগঠন।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখেছি ৫ আগস্টের আগে একটি সংগঠন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসকে কলুষিত করেছে, তারা নিজেদের আত্মপরিচয় লুকিয়ে ছাত্রলীগের সাথে মিলেমিশে ছিল, ছাত্ররাজনীতির স্টাইল ভুলে গিয়ে ছাত্রলীগের সাথে কর্মসূচি করেছে, ছাত্রলীগের পদ নিয়েছে, তারা ৫ আগস্টের পরে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে আত্মপ্রকাশ করেছে। ওই দলের সাবেক সভাপতি বলেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে তাদের যতগুলো অস্ত্র আছে সেই অস্ত্র দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কয়েকদিন চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। সুতরাং ইমান-আকিদার আলাপ বাদ দিয়ে তাদের বাস্তব চরিত্র সাধারণ শিক্ষার্থীদের সামনে উন্মোচন করার সময় এসেছে।
রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, রাবি শাখা ছাত্রদল সব সময় গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পক্ষে কথা বলেছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অবিচারের শিকার হয়ে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি ও অসুস্থ। তার মুক্তি ও সুস্থতা এই জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের যেসব সাহসী যোদ্ধা শহিদ হয়েছেন, তাদের আত্মত্যাগ আমাদের চলার পথকে আলোকিত করেছে। আমরা তাদের স্মরণে আজ এই দোয়া মাহফিল করেছি।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রদলের নেতৃত্বে নতুন প্রজন্মকে সংগঠিত করতে হবে। এই ইফতার মাহফিল কেবল একটি ধর্মীয় আয়োজন নয়, এটি আমাদের আত্মিক ও রাজনৈতিক শক্তি সঞ্চয়ের একটি প্রয়াস। শহিদদের আদর্শ ও বেগম জিয়ার নেতৃত্বেই আমরা আগামীর সংগ্রাম সফল করব।
অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় মোনাজাত করা হয়।
এ সময় অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম, অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, অধ্যাপক ড.ফরিদুল ইসলাম, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর বাবু, অধ্যাপক ড.হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক ড. সারোয়ার জাহান লিটন, অধ্যাপক ড.আব্দুল মতিনসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ, রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. আল আমিন, রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সর্দার জহুরুল, মেহেদী হাসান খান, শফিকুল ইসলাম, বুলবুল রহমান, আহসান হাবিব, সাকিলুর রহমান সোহাগ, মাহমুদুল মিঠু, জহির শাওন, মারুফ হোসেন, এম এ তাহের রহমান, আহ্বায়ক সদস্য ফারুক হোসেন, আবির হাসান হিমেল, নাফিউল জীবন, শেখ নুর উদ্দীন আবির, তুষার শেখ, মো. ইমরান হাসান রাকেশ, মো. মোকাদ্দেস আলী, জাকির রেদোয়ান, আবু সাইদ ও শেখ তাকবির আহমেদ ইমন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন