নোয়াখালীতে আহমেদ হোসেন সোহাগ নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ১১ বছর জেল ও ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জেলার চাটখিলে সমবায় সমিতির ঋণের অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আহমেদ হোসেন সোহাগ চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড পাল্লা বাজার এলাকার ধন্যপুর গ্রামের মরহুম রুস্তম আলীর মাস্টারের ছেলে। তিনি চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক।
জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা আহমেদ হোসেন সোহাগ ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দুই দফায় তিনি ৩ বছর করে মোট ছয় বছর চাটখিল উপজেলার কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সময় তিনি এ অর্থ কেলেঙ্কারি করেছেন। তারপর সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তার নামে দুদক মামলা দায়ের করে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তার ১১ বছর জেল ও ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। একইসঙ্গে মামলা চলাকালীন তার সম্পত্তির মালিকানা হস্তান্তর অবৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। তিনি ৫ আগস্টের পর মামলার রায় হবে টের পেয়ে অস্ট্রেলিয়া পালিয়ে যান।
নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের দুদকের কোর্ট পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বলেন, ‘আদালত ঋণের টাকার তছরুপ ও নয়ছয়ের সব অভিযোগের সত্যতা পান, তাই ১১ বছরের জেল ও ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। তিনি সব সময় আদালতে উপস্থিত থাকতেন কিন্তু রায় হওয়ার সম্ভাবনার বিষয় জানতে পেরে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন।’