ঝিনাইদহের শৈলকুপায় মায়ের সহায়তায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা শৈলকুপা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানায় দেওয়া অভিযোগে শিশুর বাবা উল্লেখ করেন, আমি পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী। এ জন্য বেশিরভাগ সময় বাড়িতে থাকতে পারি না। এ সুযোগে আমার স্ত্রী ফরিদা পারভিন ১২ বছর বয়সী শিশু কন্যাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শৈলকুপা উপজেলার ভগবাননগর গ্রামের রবির ছেলে শরিফুল ইসলাম শরীফ ও কৃষ্ণ কুমার মন্ডলের ছেলে সন্ন্যাসী মন্ডলের কাছে নিয়ে যেত।
এ অবস্থায় গত ৭ মার্চ ভগবাননগর গ্রামের জোছনার মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে শরিফুল ইসলাম শরীফ আমার স্ত্রীকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা কন্যাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পাশবিক নির্যাতন চালায়। এ ছাড়া একইভাবে গত ৮ মার্চ রাত্র ৯টার দিকে সন্ন্যাসী কুমার শৈলকুপা থানাধীন কুলচারা গ্রামের তোজামের মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে নিয়ে তার কন্যাকে দ্বিতীয় বারের মতো ধর্ষণ করে।
ঘটনাটি কেউ যাতে দেখতে না পায় সে জন্য আমার স্ত্রী ফরিদা পারভীন ঘরের বাইরে থেকে পাহারা দিত। গত ১২ মার্চ ঘটনা মেয়ে আমাকে জানালে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া ও কথাকাটাকাটি হয়। ঝগড়াঝাটির একপর্যায়ে আমার স্ত্রী রাগ করে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। বর্তমানে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন বলেন, লোকমুখে ধর্ষণের কথা শুনেছি কিন্তু সঠিক কিনা জানি না। শরিফুল ইসলাম শরীফ ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী লীগ করেছে। শুনছি এখন তিনি বিএনপির জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দল করছে।
ওসি মাসুম খান বলেন, বিষয়টি একটু জটিল মনে হচ্ছে। তারপরও পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শৈলকুপা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমিত বর্মন বলেন, এমন একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা তদন্তের জন্য থানার সেকেন্ড অফিসার বিএম মনিরুজ্জামানকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।