জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ফারজানা দিনা বলেছেন, স্বৈরাচার পতন পরবর্তী রাজনৈতিক সংকট নিরসনে গণপরিষদ নির্বাচন প্রয়োজন। এ জন্য আমাদের মধ্যে ঐক্যমত গঠন করে সেকেন্ড রিপাবলিক হিসেবে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
শনিবার (২২ মার্চ) বিকেলে রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগর কমিটি আয়োজিত ঐতিহাসিক কালেক্টরের ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের সার্বভৌমত্ব ও অধিকারের লড়াইয়ে সকল আহত ও আত্মদানকারী ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত যোদ্ধাসহ, ছাত্র-শ্রমিক-জনতা, ফ্যাসিবাদ বিরোধী রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, ওলামায়ে কেরাম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
ফারজানা দিনা বলেন, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও তার দোসররা আবারও মাথাচাড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। তাদেরকে পুনর্বাসন করতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কিন্তু আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ দেওয়া হবে না। আগে খুনি হাসিনার এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত কারো সঙ্গে আপস হবে না।
এ সময় তিনি রংপুরের উন্নয়নে স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা যে দলের বা রাজনৈতিক আদর্শের হই না কেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে রংপুরকে এগিয়ে নেওয়া।
ইফতার পূর্ব আলোচনা অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগরের সদস্য সচিব রহমত আলীর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, মহানগর ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি নুরুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদ নেতা হানিফ খান সজিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মদ ইমতি, বেরোবির সমন্বয়ক আশিকুর রহমান আশিক প্রমুখ। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে শহীদ পরিবারের সদস্যসহ জুলাই আন্দোলনের আহত যোদ্ধাদের অনেকেই বক্তব্য দেন।
মহানগর আহ্বায়ক ইমতি বলেন, একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমরা সুন্দর রংপুর গড়তে সকল রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একত্রে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।
আলোচনা পর্ব শেষে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও মুসলিম উম্মাহর ঐক্যসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদ ও আহত এবং গাজাবাসীর স্মরণে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ইফতার মাহফিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা, জাতীয় নাগরিক কমিটি, বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বাম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ ছাত্র-জনতা অংশ নেন।