বিতর্কিত ওয়াকফ বিল নিয়ে উত্তাল হয়ে পড়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) ফের অশান্ত হয়ে পড়ে সেখানকার জঙ্গিপুরের সুতি ও সামশেরগঞ্জ এলাকা। পুলিশ ও সাধারণ মানুষের মধ্যে সেখানে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে মুর্শিদাবাদের কয়েকটি জায়গায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সদস্যদের মোতায়েন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। তারা বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া নেটওয়ার্ক নিউজ।
বিএসএফের সদস্যরা অবরোধ সরানো, সড়কে শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করবেন। স্থানীয় শমসেরগঞ্জ পুলিশ স্টেশনের সাইজুমুর ও ধুলিয়ানের ডাক বাংলো রোড ও ফারাক্কায় বিএসএফের ৩০০ সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশের সদস্যরা বিএসএফের সদস্যদের সহায়তা করবেন।
সংবাদমাধ্যম ইটিভি ভারত জানিয়েছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সাধারণ মানুষ। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। বিক্ষোভকারীরা একটি একটি বাসেও আগুন ধরিয়ে দেন।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, পুলিশের গুলিতে তিনজন আহত হয়েছেন। তবে পুলিশ গুলি ছোড়ার দাবি অস্বীকার করেছে।
ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে সুতির সাজুরমোড় ও শমসেরগঞ্জের নতুন ডাকবাংলা মোড় অবরোধ করে বিক্ষুব্ধরা ৷ দুই জায়গায় দফায় দফায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে ৷
গতকাল বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিতর্কিত ওয়াকফ বিল নিয়ে মুর্শিদাবাদ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মর্তুজা হোসেন নামে এক বিক্ষোভকারী ইটিভিকে বলেন, “পুলিশের গুলিতে আমাদের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন ৷”
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সেখানে ইন্টারনেট সেবা বন্ধের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া মুর্শিদাবাদের সব রেলস্টেশনেও নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
এই বিক্ষোভের কারণে মুর্শিদাবাদে অন্তত দুটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আরও পাঁচটি ট্রেনকে অন্য জায়গায় থামিয়ে দেওয়া হয়েছে।