চারুকলায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রার মূল মোটিফ “ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি” পোড়ানোর ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত নাশকতা’ উল্লেখ করে চারুকলার শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ ফাইজ তাইয়েব আহমেদ।
আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টায় নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফাইজ তাইয়েব আহমেদ বলেন, চারুকলায় পরিকল্পিত নাশকতার আগুনে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আমি সন্দেহ করি। এর মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চারুকলায় ফ্যাসিবাদের ডিপ রুটেড অ্যাসোসিয়েশন এখনো থেকে গেছে। এজন্য চারুকলার শিক্ষকদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার প্রয়োজন রয়েছে।
চারুকলায় এখনো ফ্যাসিবাদের কালো হাত সচল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন থেকে এটা নিশ্চিত করার দরকার আছে যে, মননশীল শিল্প কিংবা সৃজনশীলতার নাম করে ফ্যাসিবাদ এবং একতরফা আওয়ামী ন্যারেটিভ লালন করতে পারবে না চারুকলা, যা তারা বিগত ১৫ বছরে বিস্তর করেছে এবং বড্ড বাড়াবাড়ি পর্যায়ে করেছে। তারা ফ্যাসিবাদী রাজনীতির সাংস্কৃতিক বুনন এবং আওয়ামী বয়ান তৈরির কারিগর ছিল। নাশকতার আগুন প্রমাণ করছে এদের কালো হাত আজও সমানে সচল।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চারুকলাকে অতি দ্রুত ফ্যাসিবাদী শিক্ষক এবং ফ্যাসিবাদী সংগঠনের পাণ্ডাদের সচেতন স্যাবোটাজ থেকে বাঁচাতে হবে।
প্রসঙ্গত, এ বছর বাংলা নববর্ষের আনন্দ শোভাযাত্রায় জন্য বাঁশ-বেতের কারুকাজে তৈরি করা হয়েছিলো এক দৈত্যাকৃতির “ফ্যাসিবাদী প্রতিকৃতি”, যার উচ্চতা ছিল প্রায় ২০ ফুট। যেখানে সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মুখাবয়বের দুপাশে ছিল শিংয়ের মতো অবয়ব। প্রতিকৃতিতে প্রলেপের কাজও শেষ হয়েছিল। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছিলেন, এটিই ছিল এবারের শোভাযাত্রার প্রধান মোটিফ বা অবকাঠামো।