শুল্ক আরোপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি উত্তেজনায় চীন। দেশটি ছাড়া যেসব দেশের ওপর পারস্পরিক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল সেগুলো ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর চীনের সঙ্গে চুক্তির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।
শুক্রবার ( ১১ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ক্যাবিনেট বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি এ ঘোষণা দেন। ট্রাম্প বলেন, চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ করতে আমরা একটি চুক্তি করতে আগ্রহী।
এই বৈঠকে ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট উল্লেখ করেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নীতিতে স্থিতিশীলতা আনবে। তিনি আরও বলেন, চুক্তিগুলো অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কমাতে ভূমিকা রাখবে।
এদিকে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ১২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে চীন। আগামী শনিবার থেকে নতুন এই শুল্ক কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
এ ঘোষণার মাত্র দুই দিন আগে মার্কিন পণ্যে ৮৪ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছিল চীন। তার আগে যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যে সর্বশেষ ১৪৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে। একের পর এক এই পাল্টাপাল্টি সিদ্ধান্তের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এমন উচ্চহারে শুল্ক আরোপ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির পরিপন্থি। তারা এটিকে একতরফা সিদ্ধান্ত, গুন্ডামি এবং জোরজবরদস্তি হিসেবে দেখছে।
অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি আগামী ৯০ দিনের জন্য বেশিরভাগ দেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক স্থগিত রাখবেন। তবে চীনের জন্য এই ছাড় প্রযোজ্য নয়। বরং বৃহস্পতিবার থেকেই চীন থেকে আমদানি করা প্রায় সব পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।