অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্ব গির্জা পরিষদের (ডব্লিউসিসি) মহাসচিব রেভারেন্ড ড. জেরি পিল্লে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে জেনেভাভিত্তিক রেভারেন্ড পিল্লে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শান্তি, ন্যায়বিচার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা প্রচেষ্টার প্রতি বিশ্ব গির্জা পরিষদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা আপনার নেতৃত্বের প্রতি আমাদের সমর্থন ও সংহতি জানাতে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, দুই দশক পর এই সফর বাংলাদেশের প্রতি আমাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রতিশ্রুতিরই প্রতিফলন। আপনার মতো আমরাও একতা, শান্তি ও ন্যায়সঙ্গত সমাজে বিশ্বাস করি এবং আমরা দেখছি, আপনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই লক্ষ্যেই কঠোর পরিশ্রম করছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বিশ্ব গির্জা পরিষদের প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং তাদের সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। উত্থান-পতন থাকবেই, তবে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে চাই। আশা করি, আপনারা আবার বাংলাদেশ সফর করবেন।
বিশ্ব গির্জা পরিষদ ৩৫২টি সদস্য গির্জার একটি বৈশ্বিক সংগঠন, যা ৫০ কোটিরও বেশি খ্রিস্টানের প্রতিনিধিত্ব করে এবং আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতির পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে।
রেভারেন্ড পিল্লে উল্লেখ করেন, ড. ইউনূসের থ্রি জিরো ধারণার (সম্পদ কেন্দ্রীকরণের শূন্যতা, বেকারত্বের শূন্যতা এবং কার্বন নিঃসরণের শূন্যতা) সঙ্গে ডব্লিউসিসির দৃষ্টিভঙ্গির মিল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা অন্যতম উদ্ভাবনী ও বিশ্বমানের।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ব গির্জা পরিষদেও আমরা এই তিন শূন্য নীতি সক্রিয়ভাবে অনুসরণ করি। এটি একটি প্রাকৃতিক মিল এবং আমরা আনন্দের সঙ্গে এই পথে আপনাদের পাশে আছি।
রেভারেন্ড পিল্লে বাংলাদেশের জলবায়ু অভিযোজন প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি জানান, গাজীপুরে বিশ্ব গির্জা পরিষদের বাংলাদেশ শাখা একটি জলবায়ু কেন্দ্র চালু করেছে।
এ সময় ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে রেভারেন্ড পিল্লের সঙ্গে ছিলেন বিশ্ব গির্জা পরিষদের প্রোগ্রাম এক্সিকিউটিভ দিনেশ সুনা, বাংলাদেশ প্রোটেস্ট্যান্ট চার্চ ফেডারেশনের (এফপিসিবি) সভাপতি বিশপ ফিলিপ অধিকারী, জাতীয় খ্রিস্টান পরিষদের (এনসিসিবি) সভাপতি (অব.) উইং কমান্ডার ক্রিস্টোফার অধিকারী এবং এনসিসিবির মহাসচিব রেভারেন্ড দীপক দাস।