কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে পরীক্ষার হলের ছাদ বেয়ে নকল সরবরাহের দায়ে ইমরান হোসেন (১৯) নামের এক যুবককে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে পেরিয়া ইউনিয়নের ডা. যোবায়েদা হান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিদ খান এ দণ্ডাদেশ দেন।
ইমরান হোসেন ওই এলাকার বাসিন্দা। তিনি তার এক আত্মীয় পরীক্ষার্থীকে নকল সরবরাহ করছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিদ খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ইংরেজি ২য় পত্রের পরীক্ষা চলাকালে ডা. যোবায়েদা হান্নান হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে যান ট্যাগ অফিসার শহীদুল ইসলাম। এ সময় ইমরান হোসেন ভবনের তৃতীয় তলার ছাদ বেয়ে আত্মীয়কে নকল দিতে যান, যা নজরে আসে ট্যাগ অফিসার শহীদুল ইসলামের। সঙ্গে সঙ্গে তাকে একই ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের গাড়িতে করে নেওয়ার সময় স্থানীয় কিছু ব্যক্তি গাড়ির গতিরোধ করে উত্তেজনা সৃষ্টি করেন। তবে পুলিশি নিরাপত্তায় ইমরানকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অফিসে আনা হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই দিন উপজেলার আরও চারটি কেন্দ্র থেকে নকলের অভিযোগে ১৫ জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে মৌকারা মাদরাসার চারজন শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাফিদ খান বলেন, নকল সরবরাহের সময় ইমরান হোসেনকে হাতেনাতে ধরা হয়। নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা আইন ১৯৮০ (১১-ক) ধারায় ৬ মাসের মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। নকলমুক্ত পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনের অনঢ় অবস্থান থাকবে।