বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়। এছাড়া ভারত গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এমন মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। এ সময় তিনি বাংলাদেশের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল নিয়ে ‘ইঙ্গিতপূর্ণ কথা’ বলেন।
রণধীর বলেন, “ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়। আমরা গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে।”
সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক ইস্যু এবং ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে এ কূটনীতিক বলেন, “বাণিজ্য বিষয়ক ইস্যুতে, গত সপ্তাহে, আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে একটি ঘোষণা দিয়েছি। আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরের জট দেখে। কিন্তু আপনাদের আমি মনে করিয়ে দিই, আমরা এ ঘোষণা দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সাইডে কী কী হয়েছে সেটি দেখবেন।”
ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন রণধীর জসওয়াল।
তিনি বলেন, “আঞ্চলিক একত্রীকরণ এবং বাণিজ্য বিষয়ক, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে আমাদের যে ঘোষণা, এটি কোনোভাবেই নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না। দেখুন আমাদের মাথায় আছে, আঞ্চলিক বাণিজ্যকে বর্ধিত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। আর আমি এভাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে দেখতে চাই। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক এবং ইতিবাচক সম্পর্ক চাওয়া অব্যাহত রেখেছি।”
গত ৮ এপ্রিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তারা। এ সময় বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে পণ্য জটের কথা উল্লেখ করে তারা।