শ্যুটার শোভন চৌধুরি বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে পরিচিত মুখ। প্রায় দেড় যুগ তিনি বাংলাদেশের শ্যুটিংয়ে আছেন। জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রয়েছে অনেক পদক। সেই শোভন শ্যুটিং খেলার পাশাপশি ফুটবল সংগঠক হিসেবেও কাজ করছেন। নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জে ফুটবল একাডেমিতে কাজ করছেন ফুটবলার তৈরিতে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আজ (শুক্রবার) রাজশাহীতে দেশব্যাপী ফুটবল নিয়ে কাজ করা একাডেমিগুলোকে সনদ প্রদান করে। বাফুফের তালিকায় থাকা ২৮৫ একাডেমির মধ্যে আজ রাজশাহীর সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে ছিল ২৬১টি। এর মধ্যে ১৭ একাডেমি টু-স্টার আর বাকি ২৫৪টি ওয়ান স্টার। ২০২০ সালে শুরু করা শোভনদের সিরাজগঞ্জ ফুটবল একাডেমিও ওয়ান স্টারের।
শ্যুটার হলেও ইতোমধ্যে সংগঠকের ভূমিকায় শোভন। তিনি সিরাজগঞ্জ ফুটবল একাডেমির সহ-সভাপতি। সিরাজগঞ্জে থাকলে একাডেমি নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটে তার। একাডেমি নিয়ে দেশের এই তারকা শ্যুটার বলেন, ‘ঢাকায় থাকলে শ্যুটিং আর বাড়িতে থাকলে ফুটবল নিয়েই সময় কাটে আমার। ফুটবল আমার অত্যন্ত পছন্দের খেলা। আমাদের সিরাজগঞ্জ একাডেমি থেকে ইতোমধ্যে চারজন বিকেএসপির ফুটবলে ভর্তি হয়েছে। আগামীতে আশা করি সংখ্যাটা বাড়বে।’
তৃণমূল পর্যায়ে একাডেমি পরিচালনা করা খুব কষ্টসাধ্য। স্থাপনা, সরঞ্জাম, কোচসহ নানা প্রতিবন্ধকতা থাকে। এ নিয়ে শোভনের মন্তব্য, ‘আমাদের সি লাইসেন্সধারী কোচ রয়েছেন তিনজন। তাদের একটা মাসিক সম্মানী রয়েছে। এটা আমরা একাডেমির কমিটিতে যারা রয়েছি তারাই দিয়ে থাকি। মেধাবী ও অস্বচ্ছল ক্ষুদে ফুটবলারদেরও আমরা সহায়তা করে থাকি। অনূর্ধ্ব-৮ থেকে ১২ পর্যন্ত আমাদের ৪০ জনের মতো ফুটবলার রয়েছে।’
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের হাত দিয়েই একাডেমিগুলো সনদ পেয়েছে। তাদের নিজেদের সাবলম্বী হওয়ার পথ দেখিয়েছেন বাফুফে সভাপতি, ‘ফিস গ্রহণ ও প্লেয়ার সেলিংয়ের মাধ্যমে একাডেমি অর্থসংস্থান করতে পারে। বাফুফের পক্ষ থেকে টেকনিক্যাল সহায়তা প্রদান করা হবে। আমরা সাসটেইনেবল একাডেমি চাই। সাসটেইনেবল একাডেমিগুলোকে কো-ফাইন্যান্সিং করা হবে।’
আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের আরেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরি হ্যাপি। তিনি বাফুফের গর্ভমেন্ট রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি একাডেমিগুলোকে সরকার থেকে সহায়তা করার প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলেছি। ক্রীড়া সামগ্রী এবং কোচিংয়ের ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে সহযোগিতা পাব।’
একাডেমির ফুটবলাররা মূলত ঢাকার জুনিয়র বিভাগ লিগগুলোতে খেলার সুযোগ পান। বাফুফের নতুন কমিটি ছয় মাস দায়িত্ব পালন করলেও নিচের স্তরের লিগ শুরু হয়নি। আজ এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ফেডারেশন সভাপতি তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘নিচের স্তরের লিগগুলো আমরা এখনও শুরু করতে পারিনি। আমরা এটি স্থায়ী কাঠামোবদ্ধ ভাবে করতে চাই। লিগের নিয়ম নীতি-রেলিগেশন প্রমোশন পলিসি নিয়ে কাজ শেষের দিকে।’