ভারতের কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত পাকিস্তানের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক। এ্ররই মধ্যে লাইন অব কন্ট্রোল এরিয়ায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে কয়েক দফায় গোলাগুলি হয়েছে। এমতাবস্থায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ বলেন, আমরা আমাদের সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করেছি কারণ পরিস্থিতি এখন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সে অনুযায়ী কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরকারকে আগাম সতর্ক করেছে যে ভারতের তরফ থেকে আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তিনি এই আশঙ্কার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেননি।
এই মন্তব্য ভারতের পাহেলগাম পর্যটন কেন্দ্রে একটি সন্ত্রাসী হামলার পর এসেছে, যেখানে দুই ডজনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। ভারত হামলাটির জন্য পাকিস্তানিদের দায়ী করলেও কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেনি। পাকিস্তান জোরালোভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
সামা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আসিফ বলেন, আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, কারণ যুদ্ধ দিগন্তে স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তিনি আরও বলেন, আগামী এক-দুই-তিন বা চার দিনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার স্পষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে পরে জিও নিউজ-এ তিনি তার বক্তব্য স্পষ্ট করেন, আমি বলেছি, আগামী দুই-চার দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি কিছু ঘটে, তা এই সময়ের মধ্যেই হবে — না হলে তাৎক্ষণিক বিপদ কেটে যাবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটা নিশ্চিত ভবিষ্যদ্বাণী নয় যে যুদ্ধ হবেই, বরং পরিস্থিতি যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে, তা ঝুঁকিপূর্ণ।
আসিফ জানান, ইসলামাবাদ এরইমধ্যে চীন, সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দেশকেও অবহিত করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু উপসাগরীয় বন্ধু রাষ্ট্র ইতোমধ্যে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে। যদিও নির্দিষ্ট করে দেশগুলোর নাম উল্লেখ করেননি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে চীন, সৌদি আরব, ইরান এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এবং উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং উত্তেজনা হ্রাসের আহ্বান জানিয়েছেন।