দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক নম্বর ইউনিট বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩২ মিনিটে উৎপাদনে ফিরেছে। দীর্ঘদিনের যান্ত্রিক সমস্যার পর মেরামত কাজ শেষে এই ইউনিটটি থেকে বর্তমানে ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্য দুটি ইউনিট এখনও বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এক নম্বর ইউনিটটি গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সংস্কার কাজের কারণে বন্ধ ছিল। দ্বিতীয় ইউনিটটি ২০২০ সাল থেকে এবং তৃতীয় ইউনিটটি গত সোমবার থেকে বড় ধরনের ত্রুটির কারণে বন্ধ রয়েছে। ফলে দীর্ঘদিন ধরে বড়পুকুরিয়া থেকে কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল না।
এক নম্বর ইউনিট চালু হওয়ায় আংশিকভাবে বিদ্যুৎ সংকট নিরসনে সহায়তা মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্য দুটি ইউনিট দ্রুত মেরামত করে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
প্রধান প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এক নম্বর ইউনিট মেরামত কাজ শেষে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৩২ মিনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যোগ দেয়। তবে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ইউনিট থেকে বর্তমানে মাত্র ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, সোমবার বন্ধ হয়ে যাওয়া ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিন নম্বর ইউনিট চালু করতে না পারার কারণ হিসেবে ইলেক্ট্রো হাইড্রোলিক ওয়েল পাম্প সচল করতে না পারাকে উল্লেখ করা হয়েছে। চীন থেকে যন্ত্রাংশ আনার মাধ্যমে এই ইউনিট যত দ্রুত সম্ভব সচল করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী।
এই ঘটনা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দুর্দশার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। ইউনিটগুলোর বারবার বিকল হওয়া এবং যন্ত্রাংশের অভাবে মেরামত কাজে বিলম্ব হওয়া দেশের বিদ্যুৎ খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতি দীর্ঘস্থায়ী হলে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহে আরও ব্যাহত ঘটতে পারে এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন বিঘ্নিত হতে পারে।
বিদ্যুৎ সংকট সমাধানে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া আবশ্যক।