মিয়ানমারের জান্তা প্রধান ভয়াবহ বন্যার পর বিদেশী সাহায্যের জন্যে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সংঘাতে বিধ্বস্ত দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা প্রাণঘাতী বন্যায় প্লাবিত এবং এতে দুই লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত হওয়ার প্রেক্ষিতে জান্তা প্রধান এ অনুরোধ জানান।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম শনিবার এ কথা জানিয়েছে।
গ্লোবাল নিউ লাইট অফ মিয়ানমারে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে, শুক্রবার মিন অং হ্লাইং বলেছেন, “সরকারি কর্মকর্তাদের ক্ষতিগ্রস্থদের উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তা পেতে বিদেশী দেশগুলির সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।”
জান্তা সরকার শুক্রবার বলেছে, শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির কারণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় দুই লাখ ৩৫ হাজারেরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
মিয়ানমারে ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে সংঘাতে আক্রান্ত দেশটিতে বন্যার কারণে দুর্দশা আরো তীব্র হয়েছে।
পত্রিকাটির খবরে আরো বলা হয়েছে, বন্যায় দেশের কিছু এলাকার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এবং মধ্য মান্দালয় অঞ্চলের একটি স্বর্ণ-খনি এলাকায় ভূমিধসে বেশ কিছু লোকের চাপা পড়ার খবর তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এদিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এর আগে বিদেশ থেকে আসা মানবিক সহায়তায় হয় বাধা দিয়েছে বা না হয় ফিরিয়ে দিয়েছে।
দেশটিতে ২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের কারণে অন্তত এক লাখ ৩৮ হাজার লোকের প্রাণহানির পর তৎকালীন জান্তা সরকারে বিরুদ্ধে জরুরী ত্রাণে বাধা দেয়ার অভিযোগ ওঠে।