রাজধানীর আগারগাঁও ৬০ ফিট এলাকায় বিএনপি নেতার পরিবারের ওপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ১৫-২০ জন মিলে হামলা করে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। হামলাকারীরা আওয়ামী লীগ থেকে অনুপ্রবেশকারী নব্য-বিএনপি বলেও দাবি করা হয়।
ঘটনা মঙ্গলবার ঘটলেও শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেরে বাংলা নগর থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক।
হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন জরিনা বেগম ও আয়ুব আলী। জরিনা বেগম ২৮নং ওয়াডের বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও তার স্বামী আয়ুব আলী নগর ইউনিট বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি। এ নিয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী জরিনা বেগম। এ ছাড়া আরও ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেরে বাংলা নগর থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কালবেলাকে বলেন, জরিনা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। অফিসার পাঠিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি তাদের দুবার মারধর করা হয়েছে। কিন্তু এখনো আসামি কাউকে গ্রপ্তার করা হয়নি। তবে চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার কালবেলাকে বলেন, স্বাধীন, সাগরিকার, গ্রেনেট, সাগর, বুলেট, সজল, ফয়সালসহ ১৫ থেকে ২০ জন মিলে আগারগাঁও বিএনপি বস্তির কিছু দোকান ও ঘর ভাঙতে গেলে এতে বাধা দেন জরিনা বেগম ও তার স্বামী আয়ুব আলী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ বিষয় নিয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ দিতে যান জরিনা বেগম ও আয়ুব আলী।
পরে ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মিজানুর রহমান স্বপন বিষয়টি মীমাংসা করে দেবেন বলে আশ্বাস দিলে তারা থানা থেকে চলে আসেন। তারা থানা থেকে বের হয়ে আসলে পথে তাদের মারধর করা হয়। পরদিন আবার থানায় মামলা করে বাসায় ফিরে যাওয়ার সময় তাদের আবারও মারধর করা হয়।
এর আগে এই সন্ত্রাসীরা আলমির টেক নগর ইউনিট বিএনপির ইসমাইল বিল্লাল ও মোস্তফাকের ওপর হামলা চালিয়েছিল। ২৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির কাছে বিচার চেয়ে পাননি।
মামলার আসামি স্বাধীন কালবেলাকে বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। যারা বলছে মিথ্যা বলছে। কেউ কাউকে চাইলেই মামলায় আসামি করে দিতে পারে। আমার স্ত্রীকে (সাগরিকা) জরিনা বেগম ও তার পরিবারে সদস্যরা মিলে মারধর করেছে।
শেরে বাংলা নগর থানা ২৮নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের নেতা ও হামলার শিকার হওয়া ব্যক্তির ছেলে ইব্রাহিম খলিল বিজয় কালবেলাকে বলেন, স্বাধীনসহ ১৫ থেকে ২০ মিলে আমার বাবা-মাকে দুবার মারধর করেছে। এ নিয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। যারা মারধর করেছে তারা সবাই নব্য-বিএনপি। এর আগে তারা আওয়ামী লীগ করত। শেখ হাসিনা পালানোর পর থেকে তারা বিএনপি সেজে বিভিন্ন দোকানপাট ও বস্তি দখল নিতে চেষ্টা করেছে।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদলের অফিস দখল ও বিএনপির বস্তি ভাঙচুর করতে গেলে বাধা দেওয়ায় হামলা করা হয়। তারা সবাই আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতির করত। তাদের আত্মীয়স্বজনরা আ.লীগের পদধারী নেতা। শেরে বাংলা নগর সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর হামিদা আক্তার মিতার হয়ে কাজ করত স্বাধীন ও সাগরিকার, গ্রেনেট (বাজার ইউনিট যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক), ফয়সাল, স্থানীয় আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক নাদিমের সহযোগী হিসাবে কাজ করত। এ ছাড়া অন্যরাও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। এখন তারা বিএনপিতে বনে গেছে।