পরিচালক সোহম শাহের দাবি যে, নেটফ্লিক্স তার 2009 সালের চলচ্চিত্র “লাক” থেকে চুরি করে “স্কুইড গেম” তৈরি করেছে, তা নেটফ্লিক্স সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
নেটফ্লিক্সের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই। ‘স্কুইড গেম’ এর সৃষ্টিকর্তা এবং লেখক হলেন হোয়াং ডং হিউক। আমরা এই বিষয়ে অত্যন্ত দৃঢ় অবস্থানে আছি।”
শাহের এই দাবি রবিবার সামনে আসার পর থেকে সোশ্যাল মিডিয়া এবং বিনোদন জগতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
‘স্কুইড গেম’ নিয়ে বড় বিতর্ক! নেটফ্লিক্সের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ ‘স্কুইড গেম’ নাকি অন্য একটা ছবি চুরি করে বানানো! হলিউডের একটা বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে যে, ইমরান খান অভিনীত একটা ভারতীয় ছবির গল্পই ‘স্কুইড গেম’-এ ব্যবহার করা হয়েছে। তবে ‘স্কুইড গেম’-এর নির্মাতা এই দাবি মানতে রাজি নন।
TMZ-এর খবরে বলা হয়েছে, “ভাগ্য” নামের এই রহস্যময় খেলাটি আসলে একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী অন্ধকার জগতের ব্যক্তির দ্বারা পরিচালিত। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধনী ব্যক্তিদের সংগ্রহ করে তাদের একের পর এক মৃত্যু-সম্মুখীন চ্যালেঞ্জে অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করেন। এই চ্যালেঞ্জগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয় যেন প্রতিযোগীদের ভাগ্য পরীক্ষা করা যায় এবং একইসঙ্গে বিশ্বজুড়ে জুয়াড়িরা তাদের উপর বাজি ধরে।
আরো ভয়ানক বিষয় হল, একবার এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ শুরু করলে, কোনো চ্যালেঞ্জে হার মানে মৃত্যু। এবং আরো চমকপ্রদ তথ্য হল, যদি কোনো প্রতিযোগী মারা যায়, তাহলে বাকি প্রতিযোগীদের জিততে পারা অর্থের পরিমাণ আরো বাড়ে।
জনপ্রিয় দক্ষিণ কোরিয়ান সিরিজ ‘স্কুইড গেম’ নিয়ে নতুন এক বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে। ভারতীয় চিত্রনাট্যকার সোহম শাহ দাবি করেছেন যে তিনিই এই সিরিজের মূল গল্পের রচয়িতা। তিনি জানিয়েছেন, তিনি 2006 সালের দিকে এই গল্পটি লিখেছিলেন এবং সিরিজটি 2009 সালের জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছিল।
অন্যদিকে, ‘স্কুইড গেম’ সিরিজের নির্মাতা হোয়াং ডং-হ্যুক বেশ কয়েকটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন যে তিনি 2008 সালে এই সিরিজের ধারণাটি নিয়ে এসেছিলেন এবং এটি নেটফ্লিক্সের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সোহম শাহের এই অভিযোগ 26 ডিসেম্বর করা হয়েছে। অর্থাৎ, দক্ষিণ কোরিয়ান তারকা লি জুং-জে-এর অভিনীত ‘স্কুইড গেম’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের মুক্তির কয়েক মাস আগেই এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছে।