বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, স্বৈরাচার সরকার হত্যা, খুন, গুম, লুটপাটসহ নানা অপকর্ম করে দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। হাসিনা সরকার জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল আর আল্লাহ সেই হাসিনাকে দেশ থেকে বিদায় করে দিয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-শ্রমিক-জনতা আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি চালায়; আরও বলে একটা গুলি করলে ১টা মরে, বাকিরা তো নড়ে না।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের বারইভাগ বিলচান্দি হাফিজিয়া মাদ্রাসা মাঠে আন্দোলনে শহীদ নজরুল (৩৫) ইসলামের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পতনের কয়েক দিন আগে বলেছিলেন, আমার কর্মচারী ৪০০ কোটি টাকার মালিক, তিনি এখন হেলিকপ্টারে চড়েন। তাহলে কর্মচারী এত টাকার মালিক হলে তিনি (শেখ হাসিনা) কত টাকার মালিক। সব ব্যাংক লুটপাট করেছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসন আমলের দুঃশাসনের সমালোচনা করেন তিনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র-জনতাকে গুলি করে হত্যা করায় স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের দাবি করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পাঙ্গাসী ইউনিয়ন শাখার সভাপতি আবু বক্কার সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ডা. এস এম মুনসুর আলীর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা শাহিনুর আলম, রায়গঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবুল কালাম বিশ্বাস, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. খোরশেদ আলম, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা আমির মাওলানা আতাউর রহমান, সাবেক রায়গঞ্জ পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন আকন্দ, সিরাজগঞ্জ শহর কর্মপরিষদ সদস্য মুফতি আলী আজগর, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম আজম, উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সেক্রেটারি সুমন আহমেদ, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ঢাকায় শহীদ নজরুল ইসলামের পরিবারের কাছে নগদ অর্থ প্রদান করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সব নিহত ও আহতদের জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে (২০ জুলাই) গাজীপুর চৌরাস্তায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন মো. নজরুল ইসলাম (৩৫)। তিনি সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বারইভাগ গ্রামের মো. ছালাম শেখের ছেলে।