জার্মান ক্লাব স্টুটগার্টের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন মৌসুম শুরু করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। তবে, এই জয়ের চেয়ে রিয়াল সমর্থকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তাদের দুই তারকা কিলিয়ান এমবাপে এবং তরুণ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার এনদ্রিকের গোল পাওয়।
এমবাপে তো পিএসজির জার্সিতে হলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলেছেন। এ কারণে রিয়ালের জার্সিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক হলেও, তিনি এই টুর্নামেন্টে একেবারে নতুন নন। তবে, এনদ্রিকের জন্য স্টুটগার্টের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল একেবারেই প্রথম। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসরে অভিষেক হলো তার স্টুটগার্টের বিপক্ষে।
যদিও মাঠে নামতে এনদ্রিকের ৮০টি মিনিট অপেক্ষা করতে হয়েছে। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে জুদ বেলিংহ্যামের পরিবর্তে এনদ্রিককে মাঠে নামান কোচ কালো আনচেলত্তি। ইনজুরি সময় মিলিয়ে এনদ্রিক খেলার সুযোগ পেয়েছেন মাত্র ১৫ মিনিট।
তবে নিজের অভিষেকটাকে রাঙাতে ভুল করলেন না ব্রাজিলিয়ান এই উঠতি তারকা। ৯০+৫ মিনিটে গোল করে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বকনিষ্ট গোলদাতা হিসেবে নাম লিখলেন এনদ্রিক।
তবে, এনদ্রিকের জন্য অভিষেক ম্যাচ এবং গোল করার বিষয়টা আরও বেশি স্মরণীয় হয়ে আছে ভিন্ন একটি কারণে। চলতি মাসের শুরুতেই নিজের চেয়ে ৫ বছর বয়সী বড় প্রেমিকা গ্যাব্রিয়েলি মিরান্দাকে বিয়ে করেন এনদ্রিক। যে বিয়ের কথা সোমবার প্রকাশ করেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে মাদ্রিদের সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন এনদ্রিকের স্ত্রী মিরান্দা।
সারাক্ষণই উল্লাস করে নিজের স্বামী এবং রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলারদের উৎসাহ দিয়ে গেছেন তিনি। মিরান্দার পরনে ছিল এনদ্রিকের ১৬ নাম্বার জার্সিটি। বার্নব্যুতে বসে নানান পোজে জার্সি পরিহিত ছবি তোলেন তিনি। ম্যাচের শেষ দিকে নিজের স্বামীর মাঠে নামা এবং গোল করায় দারুণ উল্লসিত মিরান্দা।
ম্যাচ শেষে নিজের ছবিগুলো পোস্ট করে ইনস্টাগ্রামে এনদ্রিককে উদ্দেশ্য করে বার্তা দিয়েছেন তিনি। লিখেছেন, ‘O maior 16′ (সবচেয়ে বড় ১৬)। এর অর্থ, এনদ্রিকের ১৬ নাম্বার জার্সিকে অনেক বড় হিসেবে তুলে ধরেছেন তিনি।