জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মব জাস্টিস ও বিচার বহির্ভূতভাবে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন মহুয়া মঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি জানান। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে- ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের তদন্ত সাপেক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বিচারের আওতায় আনতে হবে, ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমনের সঞ্চালনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জাবি শাখার সমন্বয়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, এখানে আমরা দেখতে পাই একটি গোষ্ঠী খুবই পরিকল্পিতভাবে মব জাস্টিসের মাধ্যমে শামীম মোল্লাকে মারধর করে এবং পরবর্তী সময়ে পুলিশের হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভিডিও, ছবি এবং সিসিটিভি ফুটেজসহ যত প্রমাণ আছে সব কিছু আমলে নিয়ে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার আরেক সমন্বয়ক আব্দুর রশীদ জিতু বলেন, গতকাল যে ঘটনাটি ঘটেছে সেটি সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ঘটনা। আমরা জানি শামীম মোল্লার বিরুদ্ধে মাদক সিন্ডিকেটসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। এর জন্য বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে একটি বিশেষ মহল সকল জায়গাতে তাদের আধিপত্য বিস্তার করার জন্য এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে। শামীম মোল্লাকে প্রক্টর অফিসে আনার পর তালা ভেঙে দুই বার তার ওপর অত্যাচার করা হয়। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে হত্যার ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় নবনিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর কর্মসূচিতে যাব।