লেবাননে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২৭৪ জনে ছুতে চলেছে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের ইসরায়েলি অভিযান নিহতে সংখ্যা বেড়ে ২৭৪ জনে পৌঁছেছে। তাদের মধ্যে ২১ শিশু রয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের এ হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত এক হাজার ২৪ জন।
এর আগে আলজাজিরা জানায়, দেশটি এ হামলা চালানোর আগে স্থানীয়দের মোবাইলফোনে ক্ষুদে বার্তা দিয়েছে ইসরায়েল।
এতে বলা হয়েছে, লেবাননের দক্ষিণালঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি হামলার আগে তাদের ফোনে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এতে হিজবুল্লাহর অবস্থান থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
লেবাননের তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তার কার্যালয়েও ফোনে এসব বার্তা পাঠানো হয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিকম কোম্পানি ওগেরোর তথ্যমতে, ৮০ হাজারের বেশি ফোনে এ ধরনের বার্তা পাঠানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, এসব বার্তা ছিল ইসরায়েলের কাছ থেকে ‘বিপর্যয় ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।’
এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, আজ লেবাননে প্রায় ৩০০ লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে তারা। তাদের এমন দাবির পর লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হতাহতের বিষয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে সম্প্রতি লেবাননজুড়ে ওয়াকি-টকি ও পেজার বিস্ফোরণে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এরপর বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর একাধিক ঊর্ধ্বতন কমান্ডারসহ ৩৭ জন নিহত হন। এরপর প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলের রামাত ডেভিড ঘাঁটিতে পাল্টা হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহও। ফলে লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সতর্কবার্তা জারি করে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের লেবাননে নিযুক্ত বিশেষ কর্মকর্তা জিনাইন হেনিস-প্লাসচার্ট এ সতর্কবার্তা দেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, এই অঞ্চলটি আসন্ন বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে। এটিকে আর সামনে বাড়তে দেওয়া যায় না। কেননা উভয়পক্ষকে নিরাপদ করে তোলার মতো কোনো সামরিক সমাধান নেই।