আটকের প্রায় ছয় ঘণ্টা পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) জওয়ান উপল কুমার দাসকে ফেরত দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জের চাঁন্দেরহাট সীমান্তে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবির ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহসানুল ইসলাম জানান, সীমান্তের চাঁন্দেরহাট ক্যাম্পের কাছে অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফ জওয়ান উপল কুমার দাসকে আটক করা হয়। তিনি ৩৩৪ নম্বর পিলারের সাব পিলার ৬-এর পাশে জিরো লাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। তার শরীরে বিএসএফের পোশাক থাকলেও তিনি নিরস্ত্র ছিলেন। বিকেল ৫টায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে কোণাপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা বিএসএফ জওয়ান উপল কুমার দাসকে আটক করেন।
এলাকাবাসী জানান, আজ বেলা ১১টার দিকে কোণাপাড়া গ্রামের একদল নারী-পুরুষ বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ গজ দূরে সীমান্তে ঘাস কাটতে যান। ঘাস কাটা শেষ করে বাড়িও ফিরে আসেন তারা। তার কিছুক্ষণ পর বিএসএফের দুইজন সদস্য অস্ত্র নিয়ে বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে তাদের বাড়িতে এসে হামলা চালায়। বিএসএফ সদস্যরা লাঠিসোঁটা নিয়ে নারীদের মারধর করলে গ্রামের লোকজন তাদের আটক করেন। এ সময় আটক বিএসএফ জওয়ান উপল কুমার দাস অপর জওয়ানকে গুলি করতে বললে স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যান তিনি।
স্থানীয় বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য গোলাম রাব্বানী বলেন, ভারতীয় দুইজন জওয়ান বাংলাদেশে ঢুকে নারীদের ওপর হামলা চালান। গ্রামবাসী তাদের দুইজনের মধ্যে একজনকে আটক করে বিজিবিকে খবর দেন। পরে বিজিবি তাকে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আমরা সীমান্তের কাছে ঘাস কাটতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বাংলাদেশিদের ধরে নিয়ে অনেক নির্যাতন করে এবং গুলি করে। অথচ তাদের এক সদস্য যখন আমাদের সীমানায় প্রবেশ করে আমরা এবং বিজিবি কিন্তু সসম্মানে তাকে ফেরত দিই। কোনো প্রকার নির্যাতন আমরা করিনি। আমরা যেভাবে তাকে সম্মান করেছি তারাও যাতে আমাদের এভাবে সম্মান দেয়।