বাল্যবিবাহ ইস্যুতে আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিতে জাতীয় কমিটি গঠন করেছে সরকার। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সভাপতি করে ২৭ সদস্যের ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নিমিত্ত জাতীয় কমিটি’ গঠন করে সম্প্রতি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব।
এছাড়া আরও রয়েছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান/নির্বাহী পরিচালক, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মনোনীত কমপক্ষে অতিরিক্ত সচিব/যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান/মহাপরিচালক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, এছাড়া সরকারের মনোনীত জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যক্রম রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠিত বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ বা নারী ও শিশু অধিকার সম্পর্কিত দুটি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) একজন করে প্রতিনিধি থাকবেন। যাদের মধ্যে একজন নারী থাকবেন।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কমিটিতে সদস্য-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এতে বলা হয়, কমিটি আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধকল্পে জেলা কমিটির কার্যক্রম তদারকি ও সমন্বয় করবে। এছাড়া বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে চ্যালেঞ্জ চিহ্নিতকরণ এবং তা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও দিকনির্দেশনা প্রদান; বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কৌশলগত দিকনির্দেশনা প্রদান; বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং এ সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনা ও নীতিগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ সংক্রান্ত কার্যক্রমের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন ও প্রকাশ করবে জাতীয় কমিটি।