ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কখন হবে সে ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ ও আওয়ামী দোসরদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ‘গণতন্ত্র ফোরাম’-এর উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস কয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবেন, কখন নির্বাচন হবে-সেটা রাজনৈতিক দল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আমাদের আত্মবিশ্বাস হচ্ছে বিএনপি, আমাদের নেতা তারেক রহমান। আমাদের নেতা বলেছেন, বাংলাদেশে এমন একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমি বিএনপিকে ক্ষমতায় নিতে চাই, যে নির্বাচন দিনে হবে। যে নির্বাচনে মৃত ব্যক্তি ভোট দেবে না। যে নির্বাচন কমিশন হাসিনার কথায় নির্বাচন করেছে, এমন নির্বাচন কমিশন যাতে বাংলাদেশে আর কোনোদিন না হয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কুচক্রীরা, আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বাংলাদেশের এই সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের আকাশে একটা নক্ষত্র, যিনি বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বের দরবারে উজ্জ্বল করে তুলেছেন। আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছর এই দেশের মানুষের ওপর চেপে বসে মানুষের কণ্ঠকে চিবিয়ে চিবিয়ে হত্যা করেছে। আজকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে, যারা মায়ের বুক খালি করেছে। আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যাবে না। আপনারা যতই ষড়যন্ত্র করেন না কেন, আপনারা বাংলাদেশের মাটিতে কোনোদিনও আওয়ামী লীগের নাম নিয়ে আসতে পারবেন না।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার কেড়ে নিয়েছিল উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ আপনাদেরকে ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। আপনাদেরকে গুলি করেছে, আপনাদের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। আপনাদের পত্রিকাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা আশা করছি, ড. ইউনূসের এই সরকারের অধীনে আপনারা বুক ফুলিয়ে স্বাধীনভাবে, স্বাধীন কলম দিয়ে আপনাদের লেখনির মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে ১৬ বছরের হত্যা, গুম, মায়ের বুক খালি হওয়ার ইতিহাস তুলে ধরবেন। আমরা এটুকু আপনাদের কাছে চাই।
তিনি বলেন, সীমান্তে যখন আমার ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সেই কথাগুলো আপনি (শেখ হাসিনা) কখনোই আমাদেরকে সংসদে বলার সুযোগ দেননি। আপনি এখন দাপটের সঙ্গে হিন্দুস্তানে বসে আছেন। মোদি সরকার, আপনার বিরুদ্ধে কোনোও অভিযোগ নেই। কিন্তু আপনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলেন। বাংলাদেশকে নিয়ে কোনোও কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। বাংলাদেশের মানুষ সজাগ।
সংগঠনের সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এতে কৃষক দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।