ব্যাটিং ব্যর্থতায় আড়াই দিনেরও কম সময়ে ভারতের কাছে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে ৭ উইকেটে হেরে যায় সফরকারী বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ হেরে ২-০ ব্যবধানে সিরিজে পরাজিত হয়েছে টাইগাররা। অথচ এক মাস আগেই পাকিস্তানের মাটিতে ব্যাট-বল হাতে অসাধারন পারফরমেন্সে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতেছিলো বাংলাদেশ।
কিন্তু ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের একটিতেও জ¦লে উঠতে পারেনি শান্ত-সাকিবরা। বিশেষভাবে দলের ব্যাটিং পারফরমেন্স ছিলো হতাশাজনক। তাই দলের ব্যাটিং নিয়ে হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টের দুই ইনিংসে ১৪৯ ও ২৩৪ রান করেছিলো বাংলাদেশ। কানপুর টেস্টে করেছে ২৩৩ ও ১৪৬ রান। প্রথম টেস্টের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ রান কম করেছে টাইগাররা।
কানপুর টেস্ট হেরে দলের বাজে ব্যাটিংয়ের কথা স্বীকার করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত। পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে শান্ত বলেন, ‘আমরা ভালো ব্যাটিং করিনি। আপনি যদি ব্যাটারদের দিকে দেখেন তাহলে দেখবেন সকলেই ৩০-৪০ বল খেলে আউট হয়েছে। একজন ব্যাটারের বড় রান পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
দ্বিতীয় টেস্টে আড়াই দিনেরও কম সময়ে ম্যাচ হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পুরো টেস্টে ১৭৩.২ ওভার খেলা হয়েছে। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাটিং করেছে ১২১.২ ওভার। ভারত খেলেছে ৫২ ওভার। ভারতের চেয়ে বেশি সময় ব্যাট করলেও দলের প্রয়োজনে বড় ইনিংস খেলা বা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারেনি টাইগাররা।
পাকিস্তান সিরিজের মত ভারতের বিপক্ষে দুই টেস্টের একটিতেও দলের বিপর্যয়ে হাল ধরতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সেই আক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন শান্ত। ঐ টেস্টে ১৪৪ রানে ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর রবীচন্দ্রন অশি^ন ও রবীন্দ্র জাদেজার ১৯৯ রানের জুটি ঘুড়ে দাঁড়ায় ভারত। শেষ পর্যন্ত অশি^ন-জাদেজার জুটিই ম্যাচে বড় প্রভাব বিস্তার করে।
শান্ত বলেন, ‘অশি^ন-জাদেজা যখন ব্যাট করেছে, ঐ মুহূর্তে আমাদের উইকেট নেওয়া দরকার ছিলো। দুই ইনিংসে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি আশা করি পরের টেস্টে ভালো কিছু হবে।’
দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টির কারনে মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়। এরপর দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন ভেস্তে যায়। চতুর্থ দিনের পুরোটা এবং পঞ্চম দিনের দ্বিতীয় সেশনেই জয় তুলে ভারত। তিন দিনের মধ্যে আড়াই দিন ভেস্তে যাবার পর বাংলাদেশের বিপক্ষে আক্রমনাত্মক খেলার পরিকল্পনা ছিলো ভারতের।
টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা বলেন, ‘আমরা যখন চতুর্থ দিন খেলতে নামি, তখন আমাদের লক্ষ্য ছিলো যত দ্রুত সম্ভব বাংলাদেশকে আউট করা। এরপর ব্যাট হাতে নিজেদের সামর্থ্য দেখতে চেয়েছিলাম। তবে আমরা অনেক বেশি রান করতে চাইনি। আমরা অনেক বেশি বোলিং করতে চেয়েছিলাম। কারন উইকেটে বোলারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। কিন্তু এমন উইকেট থেকে বোলারদের ম্যাচ বের করে আনাটা ছিলো দারুন ব্যাপার। ব্যাটাররা ঝুঁকি নিতে রাজি ছিল এবং সুযোগ তৈরির জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম।’