সহযোদ্ধাদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) আর্থিক লাভে চলছে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়ের সভা কক্ষে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়নের অর্থ প্রদান করা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাপ্য সুবিধাদি বুঝিয়ে দিতে প্রতিষ্ঠানটির অবসরপ্রাপ্ত এবং বর্তমান কর্মচারীদেরও তালিকা করা হয়েছে। এক সময়ে আর্থিক ক্ষতিতে থাকা বিআরটিসি এই মাসেও ২ থেকে ৩ কোটি লাভে থাকবে। বিআরটিসি এখন আয়নার মতো স্বচ্ছ। যার কারণে বাজেট এবং অফিস ব্যবস্থাপনায় জবাবদিহিতা নিশ্চিত করেছে। আর কর্মচারীরা ভালো আছে বলেই বিআরটিসি ভালো আছে।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালের পর নতুন গাড়ি না থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা বেতন দেওয়া হচ্ছে। আমি এখানে যোগদান করার পর থেকে কোনো বৈষম্য রাখতে দেইনি। সবাই যার যার প্রাপ্য অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের সংস্কার অনেক আগেই করা হয়েছে। যার জন্য বিআরটিসিরি কর্মচারীরা এখন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাংকে তাদের টাকা পেয়ে যায়।
বিআরটিসি সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সাল থেকে তিন মাস অন্তর অন্তর অনলাইন ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি ও ছুটি নগদায়নের অর্থ প্রদান করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ (গতকাল) ২৯৬ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়ন বাবদ ৪৫ কোটি ৪ লাখ ৯ হাজার ৮৬১ টাকা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও অসুস্থ ও দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত ৫৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল হতে ২১ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ২০২১ সালের পূর্বে নতুন গাড়ি থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছয় কোটি টাকা বেতন নিয়মিত পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ এবং প্রশাসনের দক্ষ ব্যবস্থাপনায় পুরাতন গাড়ি দিয়ে রাজস্ব অর্জন করা হচ্ছে। এ রাজস্ব থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা বেতন প্রদানের পাশাপাশি সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়নের অর্থ নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছে। ২০২১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ না এনে নিজস্ব অর্থায়নে সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়ন বাবদ মোট ৭৩, ৪২০, ৯, ২৯৮.১৪ টাকা এবং কল্যাণ তহবিল থেকে ৩৭৯ জনকে ১, ৪৬, ২০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। পূর্বে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে টাকা প্রাপ্তির সাপেক্ষে পূর্বের চেয়ারম্যান সময় (তিন বছর) সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি এবং ছুটি নগদায়ন বাবদ ১৪, ১৫, ৫৭, ৩১৪.১১ টাকা এবং কল্যাণ তহবিল হতে ১৮, ৪৯, ০০০ টাকা প্রদান করা হয়েছিল বলে জানানো হয়।