মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আরও ৭২৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সহায়তা পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপটি ইউক্রেনের শক্তি বাড়ানোর এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধ সক্ষমতা জোরদার করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) আরব নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
মার্কিন কর্মকর্তাদের তথ্য অনুযায়ী, বাইডেন প্রশাসন রাশিয়ার অগ্রসরমান সৈন্যদের মোকাবিলায় ইউক্রেনকে বিভিন্ন ট্যাঙ্কবিরোধী অস্ত্র সরবরাহ করবে। এর মধ্যে থাকবে ল্যান্ড মাইন, ড্রোন, স্টিঙ্গার মিসাইল এবং হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেমের জন্য গোলাবারুদ। বাইডেন প্রশাসন এই অস্ত্রগুলোর মাধ্যমে ইউক্রেনের সেনাদের সাহায্য করবে, যাতে তারা রাশিয়ার আগ্রাসী বাহিনীর অগ্রগতি প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়।
রয়টার্সের দেখা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, প্যাকেজটিতে ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অস্ত্রগুলি বিশেষভাবে ক্ষতিকারক এবং রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরোধ সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ক্লাস্টার যুদ্ধাস্ত্র সাধারণত গাইডেড মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম থেকে উৎক্ষেপিত হয়, যা লঞ্চার দ্বারা ব্যবহার করা হয়।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই অস্ত্র সহায়তা প্যাকেজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কংগ্রেসে আগামী সোমবার আসতে পারে। তবে, প্যাকেজের আকার এবং বিষয়বস্তু বাইডেনের স্বাক্ষরের আগে পরিবর্তিত হতে পারে। এটি বাইডেনের প্রেসিডেন্সিয়াল ড্রডাউন অথরিটি এর আওতায় আসবে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জরুরি পরিস্থিতিতে অস্ত্র সরবরাহ করতে অনুমতি দেয়। এর মাধ্যমে, বাইডেন প্রশাসন মিত্র দেশগুলোকে সাহায্য করার জন্য অতিরিক্ত অস্ত্র সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে, রাশিয়ার বিদেশি গোয়েন্দাপ্রধান সের্গেই নারিশ বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ সাময়িকভাবে থামিয়ে রাখার বিপক্ষে। তারা একটি দীর্ঘমেয়াদি ও স্থায়ী শান্তির প্রস্তাব দিচ্ছে, যাতে এই সংকটের মূল সমস্যা সমাধান করা যায়।
এ ছাড়া, পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ইউক্রেনকে পারমাণবিক অস্ত্র দেওয়া একটি অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত হবে এবং এতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। এই পরিকল্পনা বাইডেন প্রশাসনের পক্ষে ইউক্রেনের প্রতি একটি বড় ধরনের সহায়তা এবং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান দৃঢ় করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে, এই সহায়তা ইউক্রেনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরোধের পথ খুলে দিতে পারে।