১৯৯৬ সালের পর আর পাকিস্তানের মাটিতে হয়নি ক্রিকেটের কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট। মাঝে সন্ত্রাসী হামলার কারণে কয়েক বছর আন্তর্জাতিক ম্যাচও বন্ধ ছিল দেশটিতে। দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরিয়ে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসার কথা রয়েছে। তবে ভারত টুর্নামেন্ট খেলতে দেশটিতে যাবে না বলে একক আয়োজক সত্ত্ব হারানোর শঙ্কায় পড়েছে পাকিস্তান। যা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার কথা ছিল আইসিসির সভায়।
পুরো ক্রিকেটবিশ্ব যখন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার দিকে তাকিয়ে, তখন পরপর দুটি সভা স্থগিত করেছে আইসিসি। গত ২৯ নভেম্বর মাত্র ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মাঝে বোর্ড সভা পণ্ড হয়ে যায়। জয় শাহ আইসিসির সভাপতি হওয়ার পর তার অধীনে আজ (বৃহস্পতিবার) প্রথম সভা হওয়ার কথা ছিল। যার জন্য বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি দুবাই আইসিসির কার্যালয়ে হাজির ছিলেন। কিন্তু স্থগিত হয়ে গেছে আজকের সভাও।
সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ বলছে, আগামী ৭ ডিসেম্বর পুনরায় সভায় বসবে আইসিসি। পাকিস্তানের অবস্থানের বিষয়ে ভারত প্রতিক্রিয়া না জানানোয় সভা করতে দেরি হচ্ছে। যদিও এর আগে সূত্র জানিয়েছিল— পাকিস্তানের দেওয়া পার্টনারশিপ ফর্মুলা প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত, তারা তাদের দেশে হতে যাওয়া কোনো আইসিসি ইভেন্ট হাইব্রিড মডেলে আয়োজনে আগ্রহী নয়।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম বলছে, এই সভায় যোগ দিতে আজ সকালেই অনেক প্রত্যাশা নিয়ে দুবাইয়ে পৌঁছান পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভি। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে আশা ছিল তার। এর আগে ভারত দল পাঠাতে রাজি না হওয়ায় হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনের আলোচনা শুরু হয়। বিপরীতে পাকিস্তানও শর্ত জুড়ে দেয়।