গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ স্থানীয় বিএনপির ৫ জন আহত হন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দিনব্যাপী নলডাঙ্গার শ্রীরামপুর এলাকায় উত্তেজনা ছিল। এর আগে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মিয়ারবাজার নামক স্থানে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় মিজানুর রহমান, ছলিম মিয়া, দুলালী বেগমসহ ৫ জন আহত হন। এর মধ্যে মিজানুর রহমান ও ছলিম মিয়াকে রংপুরে এবং দুলালী বেগমকে সাদুল্লাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি নলডাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কাউন্সিলের ভোটে সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বেলাল হোসেন নির্বাচিত হয়। এরপর ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এতে সভাপতি শহিদুল ইসলাম নিজের পছন্দের সব কাউন্সিলর নিয়ে এই কমিটি গঠনের পাঁয়তারা করছিলেন। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মতপার্থক্য সৃষ্টি হয়।
এরই একপর্যায়ে বুধবার রাত ৮টার দিকে শহিদুল ইসলাম তার দলবল নিয়ে আমজাদ ও বেলালদের ওপর লাঠি ও ধারালো অস্ত্রে হামলা করে। এতে আমজাদ ও বেলাল সমর্থকের মধ্যে নারীসহ ৫ জন গুরুতর আহত হন। এর মধ্যে ২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা ও বাকি ৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সেনাসদস্য ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অন্যদিকে ওই হামলার নেতৃত্বকারী শহিদুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার দাবিতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় কাউন্সিলররা।
এ বিষয়ে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে।