যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা স্থগিত করার পর ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে ইউরোপ। ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা বাবদ ৩ হাজার কোটি ইউরো (৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার) প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
কিন্তু ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যতম সদস্যরাষ্ট্র হাঙ্গেরির আপত্তির কারণে আটকে গেছে প্রতিশ্রুত সেই সহায়তা।
এক প্রতিবেদনে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী অংশ ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের বৈঠকে ইউক্রেনকে সহায়তা প্রদানের ব্যাপারটি প্রস্তাব আকারে তোলা হয়। সেসময়েই তাতে ভেটো বা আপত্তি জানান হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অর্বান।
আপত্তির পক্ষে যুক্তি দিয়ে অরবান বলেন, “বলা হচ্ছে, ইউক্রেন যেন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারে— সেজন্যই প্রদান করা হচ্ছে এই সহায়তা। এখানেই আমাদের আপত্তি, কারণ হাঙ্গেরি কখনও যুদ্ধ-সংঘাতকে সমর্থন বা প্রশ্রয় দেয় না। হাঙ্গেরির মূল নীতি হলো শান্তি, সংলাপ ও কূটনৈতিক তৎপরতা।”
ইউরোপ মহাদেশের ২৮টি দেশ ইইউ’র সদস্য। ১৯৪৯ সালে গঠিত ইইউ’র সংবিধান অনুযায়ী, কোনো সদস্যরাষ্ট্র যদি জোটের কোনো সিদ্ধান্তে আপত্তি জানায়, তাহলে তা বাস্তবায়ন বা কার্যকর হয় না।
ভিক্টর অর্বান ইউরোপের রাশিয়াপন্থি রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। এর আগেও কয়েকবার ইউক্রেনের সামরিক সহায়তার প্রক্রিয়া আটকে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি বরাবরই তিনি বলে আসছেন যে ইউক্রেনের উচিত যুদ্ধ বন্ধ করে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তির সংলাপ শুরু করা।
তবে এবার সফল না ও হতে পারেন অর্বান। কারণ ব্রাসেলসের বৈঠক শেষে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অ্যান্টোনিও কস্টা সাংবাদিকদের বলেন, “ইউক্রেন ইস্যুতে হাঙ্গেরির দৃষ্টিভঙ্গি ভিন্ন এবং এই ভিন্নতার কারণে হাঙ্গেরি বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। এই ইস্যুতে বর্তমানে জোটের ২৭টি রাষ্ট্র একদিকে এবং হাঙ্গেরি আরেক দিকে।”
তিনি আরও জানান, ইউক্রেনে সহায়তা পাঠাতে ঐকমত্যের জন্য আগামী ২০ মার্চ ফের ব্রাসেলসে বৈঠকে বসবে ইইউ।