ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ্যম দলের তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে কিংবা আঁতোয়ান গ্রিজম্যানদের ব্যর্থতাকে ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের জন্য দায়ী করেননি। স্পেনের কাছে ২-১ গোলে পরাজিত হয়ে ফ্রান্সকে এবারের আসর থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। বরং ব্যর্থতার দায়ভার নিজের কাঁধেই নিয়েছেন দেশ্যম।
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই তারকা সমৃদ্ধ দলটি নিজেদের যোগ্যতার প্রমান রাখতে পারেনি। ফ্রান্সের অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক হিসেবে এমবাপ্পে ও গ্রিজম্যান এই ব্যর্থতার দায় মোটেই এড়াতে পারেননা। এ সম্পর্কে কাল ম্যাচ শেষে দেশ্যম বলেছেন, ‘এই দায়ভার আমার। স্পেনের মত একটি দলের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরাটা দেয়া ছাড়া উপায় নেই। আমি এখানে কোন যুক্তি খুঁজছি না। কিন্তু যখন আমরা ইউরোর প্রস্তুতি শুরু করি তখন অরেলিয়েন টিচুয়ামেনি, আদ্রিয়েন রাবোয়িত ইনজুরিতে ছিলেন। ডায়ট উপামেকানো তার সেরা ফর্মে ছিলেন না। আমরা প্রত্যাশার চাপ নিতে পারিনি। আমার হাতে যে কয়টি অপশন ছিল তাদের নিয়েই সম্ভাব্য সেরা দল বাছাই করতে হয়েছে। কিন্তু স্পেনের বিরুদ্ধে হয়তো আরো ভাল কিছু করা উচিত ছিল। তারপরও সৌভাগ্য যে প্রথম গোলটি আমরাই দিয়েছিলাম।’
এবারের আসরে কোলো মুয়ানির গোল ফ্রান্সের কোন খেলোয়াড়ের ওপেন প্লেতে প্রথম গোল। কিন্তু লামিন ইয়ামাল ও ডানি ওলমোর চার মিনিটের ব্যবধানের গোলে স্পেনের ২-১ ব্যবধানের জয় নিশ্চিত হয়।
ইউরো ৯৬’র পর প্রথম বড় কোন টুর্ণামেন্টর সেমিফাইনালে ফ্রান্স পরাজিত হবার পর দেশ্যম বলেন, ‘স্পেন দারুনভাবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিজেদের করে নিয়েছিল। আমরা লড়াই করে গেলেও তা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ঠ ছিলনা। আমি এটা বলবো না যে খেলোয়াড়রা তাদের সবকিছু দেয়নি। তবে এটা ঠিক যে বিভিন্ন কারনে এই টুর্নামেন্টে খেলোয়াড়রা সবাই তাদের শতভাগ দিতে পারেনি।’
গতকাল সেমিফাইনালের মাধ্যমে ফ্রান্সের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার ৩৭ বছর বয়সী অলিভার গিরুদ জাতীয় দলের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেছেন। বদলী হিসেবে তিনি ম্যাচের শেষভাগে মাঠে নামেন। তৎকালীন কোচ লরেন্ট ব্লাঙ্কের অধীনে গিরুদের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল। ২০১২ সালের আগস্টে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে দেশ্যমের অধীনে তিনি প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন। গিরুদ সম্পর্কে দেশ্যম বলেন, ‘অন্য খেলোয়াড়দের মতই গিরুদও হতাশ হয়েছেন। লে হাভরেতে উরুগুয়ের বিরুদ্ধে আমার প্রথম ম্যাচের শেষ খেলোয়াড় হিসেবে সে আজ বিদায় নিল। শুরু থেকেই গিরুদ আমার সাথে ছিল। কিছু কঠিন সময় তার কেটেছে। কিন্তু সর্বোচ্চ গোলদাতা হিসেবে সে বিদায় নিচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে পেশাদারীত্ব ধরে রাখার উৎকৃষ্ঠ উদাহরণ হলো গিরুদ। এবারের ইউরোতে হয়তো তিনি খুব বেশী ম্যাচ খেলতে পারেননি। কিন্তু দলের পিছনে সে সবসময়ই ছিল। আমি তাকে সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।’