‘সরকার অনুমতি দিচ্ছে না’- গত দশ বছর ধরে পাকিস্তান সফরে যাওয়া নিয়ে এমন মন্তব্যই করে আসছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সর্বশেষ এশিয়া কাপের পর এবার পাকিস্তানের মাটিতে অনুষ্ঠিতব্য আগামী আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও না খেলার বিষয়ে একই মন্তব্য করছে বিসিসিআই। কিন্তু ভারতের এই অজুহাত আর মানতে নারাজ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে পিসিবি জানিয়েছে, ভারত সরকার যে টিম ইন্ডিয়াকে পাকিস্তানে খেলার অনুমতি দেয় না, সেটি লিখিত আকারে দিতে হবে বিসিসিআইকে।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান সফর করছে না ভারত। শুধুমাত্র আইসিসি বা এসিসি’র কোন ইভেন্টে মুখোমুখি হয় দু’দল। সর্বশেষ এশিয়া কাপের আয়োজক ছিলো পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান সফরে ভারত যেতে রাজি না হওয়ায় ‘হাইব্রিড মডেলে’ অনুষ্ঠিত হয় টুর্নামেন্টটি। অর্থাৎ ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলংকার মাটিতে আয়োজন করা হয়েছিল।
একইভাবে আগামী আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও পাকিস্তানের মাটিতে খেলতে রাজি নয় ভারত। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ‘হাইব্রিড মডেলে’র সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাতেই বিসিসিআইর কাছ থেকে এবার লিখিত পত্র চেয়েছে পিসিবি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে পিসিবির একটি সূত্র বলেছে, ‘যদি ভারত সরকার অনুমতি না দেয় তাহলে লিখিতভাবে জানাতে হবে। এখনই বাধ্যতামূলকভাবে আইসিসির কাছে চিঠি জমা দিতে হবে বিসিসিআইকে। টুর্নামেন্ট শুরুর ৫-৬ মাস আগে আইসিসির কাছে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়া নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানানো উচিত বিসিসিআইয়ের।’
এদিকে পাকিস্তানের বাইরে যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচ খেলার প্রয়োজন হয় তাহলে অতিরিক্ত বাজেট বরাদ্দর পরিকল্পনা করছে আইসিসি।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, ‘পাকিস্তানের বাইরে কিছু ম্যাচ খেলার প্রয়োজন হলে আইসিসি ম্যানেজমেন্ট অতিরিক্ত খরচের সুপারিশ করছে।’
দীর্ঘ ৮ বছর পর আবারও মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্ট আয়োজক বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। ইতোমধ্যে আইসিসির কাছে টুর্নামেন্টের খসড়া সূচি জমা দিয়েছে পিসিবি। খসড়া সূচি অনুযায়ী আগামী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি আয়োজনের পরিকল্পনা করছে পিসিবির।
আট দলের এই টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে স্বাগতিক ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের সাথে থাকছে বাংলাদেশ, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে আছে- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান।