খুলনা জেলার দাকোপ ও পাইকগাছা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। শিবসা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এই বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। খুলনা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। দাকোপে পানখালী বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়ে কৃষকরা তাদের ফসল হারিয়েছেন এবং মাছ চাষীরা তাদের ঘের হারিয়েছেন।
একই সময়, পাইকগাছার দেলুটি ইউনিয়নের কালিনগর এলাকায় ওয়াপদার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার ফলে কালিনগর, হরিণখোলা এবং দারুণমল্লিক গ্রাম পুরোপুরি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ।
উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ওয়াপদার রাস্তার ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিনগর বাওয়ালী বাড়ির দক্ষিণ পাশে অবস্থিত পূর্বের আম্ফানের ভাঙনের দক্ষিণে প্রায় ৩০০ ফুটেরও বেশি এলাকা জুড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে।
দীর্ঘস্থায়ী বৃষ্টির ফলে ২২ নম্বর পোল্ডারে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ার পাশাপাশি বিস্তীর্ণ ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। মাছের ঘের ভেসে গেছে এবং বীজতলাসহ ফসলি জমি পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে।
এলাকাবাসী আশঙ্কা করছেন যে, আজ সন্ধ্যার মধ্যে পুরো পোল্ডারটাই প্লাবিত হয়ে যেতে পারে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত তারা বাঁধ মেরামতের কাজ করেছেন। কিন্তু প্রবল স্রোতের কারণে বাঁধ মেরামতের কাজে বিঘ্ন ঘটছে এবং বিপদের আশঙ্কা দূর হচ্ছে না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানা গেছে, খুলনা জেলা প্রশাসন বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করেছে। একইসঙ্গে, গতকাল রাতভরের বৃষ্টিতে খুলনা শহরের টুটপাড়া, বয়রা, নিরালা, মৌলভীপাড়া, বায়তি পাড়াসহ বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে।