সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্রাবণ গাজী (২০) হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ৮৫ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ২০০-২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে নিহত শ্রাবণ গাজীর বাবা মান্নান গাজী সাভার মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত শ্রাবণ গাজী সাভারের আশুলিয়ার ডেইরী ফার্ম এলাকার মান্নান গাজীর ছেলে। সে সাভারের আশুলিয়ার মালেশিয়া টুংকু আব্দুর রহমান ইউনিভার্সিটিতে অনার্সে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
মামলায় আসামিরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের (৭০), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (৬৮), সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান (৭২), সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম (৫২), সাবেক সাভার উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজিব (৫৫), সাবেক মেয়র হাজী আব্দুল গণি (৭২), ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মানিক মোল্লা (৬৫), তেঁতুলজোড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফখরুল আলম (৫০), বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন (৪৫), বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সেলিম মন্ডল (৪৭), সাভার সদর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল রানাসহ (৪২) আরও অজ্ঞাতনামা ২০০/২৫০ জন আসামির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয় ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শ্রাবণ গাজী সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের নিউ মার্কেটের সামনে আসে। সেখানে ছাত্রদের যৌক্তিক দাবির পক্ষে একাত্মতা পোষণ করে ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন সে। এ সময় আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ হুকুমে এবং প্ররোচনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরাসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গসংঘঠনের অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/২৫০ জন আসামিরা হামলা করে। এ সময় আসামিদের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনরত ছাত্রদের ধাওয়া করে এবং এলোপাতাড়ি পেটায় এবং উপর্যুপরি গুলি বর্ষণ করে। সে সময় শ্রাবণ গাজীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগায় তার মৃত্যু হয়।